(  কবিতাটা অন্যভাবে লেখার চেস্টা করলাম ! যে দু-চারজন
বন্ধু এখনো মন্তব্য করেন তাদের  কাছে আমি কৃতজ্ঞ !  আপনাদের ভরসাতেই আমার এই প্রচেষ্টা ! )


  শিয়ালদা স্টেশনে  ,
            পাঁচটা কুড়ির ‘লালগোলা ’ য় ,
ছাড়বার আগেই উঠে পড়া -
             রোজ  যেমনটা বাড়ী  ফেরা ,
                ভীরে ঠাঁসা সাত নম্বর কামড়ায় !

প্রথম দুটি ফোঁকর , দখল বাঁধা নিত্য যাত্রীদের ,
       ঠাই পাই , বাঙ্কের ওপর –  
                    স্পেসাল  কিছু  সদস্যদের !
টিফিন করি  - শিঙাড়া  ও ঝালমুড়ি -
         সাথে লেবু দিয়ে লাল চা- এক খুঁড়ি !
       ট্রেনের গতি বাড়ায় ‘ ভিন্টেজ ’ কয়লা-ইঞ্জিন ,
             হকারদের ফেরী-চ্যেচানো  সোঁই প্রতিদিন ,
                   “ বাবুরা ,  চুসুন আদা লজেন , টাকায় তিন ”!
সেই এক হাহাকার- পরখ করুন - প্লিজ একটিবার ,
           “ স্যার , আমরা শিক্ষিত বেকার-
                চোর নৈ-ডাকাত নৈ-
                     আমরা খেটে খাওয়া হকার !”
  রোজকার বিরক্তি এগুলি – ধূপকাঠি ‘ চম্পা-চামেলি’,
           বদ হজমে ‘ হজমি গুলি’
   ‘ আশ্চর্য মলম’ - দাদ  হাঁজা  খুঁজলি ;
   অবিরাম  হৈ হট্টোগোলে –
                              এ যন্ত্রনা রোজই চলে ,
প্রথম সেদিন,  কামড়ায় ঢোকে ‘ গান ’
        ব্যাটারি মাইক্রোফোনে  ভাসে সুর ,
            মনরঞ্জনে টৈ টম্বুর
    “ নমস্কার , আমরা শান্তনু- নীরঝর! ”



আমি হতবাক,  শুরু হয় গান ,
         বেশ লাগলো গায়কীর মান ;
এক এক কোরে  শোনালো সেদিন
             অনেক বাংলা  গান ,
অবাক হোয়ে দেখি  গান  বলে আমায়-
‘ ভালো লাগলে,  স্যার আশীরবাদটা বারান  ’!
সেদিন প্রানভোরে আশীর্বাদ কোরে
            আত্মীয় এক সংগীতজ্ঞর ঠিকানা –
                 ও দু কলম আনুরোধ লিখে ওরে !
ছেলেটাকে লালগোলা প্যেসেঞ্জারে
আর দেখিনি  কোনদিন ,
যাত্রাপথে  গান শুনলেই খুঁজি  ওরে  প্রতিদিন -
     “ আমি চেয়ে চেয়ে দেখি সারাদিন-
            ঐ চোখে সাগরের নীল,  ; ”
আজো  কানে গাথা আছে,
ছেলেটার গেয়েছিলো সেদিন –
              শ্যামলদার সেই গান-
         শ্রদ্ধায়  সে গান ,   চিরদিন রবে অমলিন  !!