জীবনটা ঠিক বিষাদগলানো মোমবাতির মত
জ্বলে-পুড়ে নিঃশেষ হতে হতে, তবু জ্বলে থাকা
অন্তিম মুহূর্তটির অপেক্ষায়..
আমৃত্যু মরতে মরতে বেঁচে থাকার গল্পই জীবন।
বহুযুগ থেকে প্রবহমান নদীর বিগলিত স্রোতে
বেঁচে থাকার মাতৃস্তন্য লিখে গেছে কেউ,
জাগতিক ভোরের হিরন্ময় আলোর ভিতর
অযুত সম্ভাবনা,.. যত পবিত্রতা!
বন্টনসামগ্রীর সম্পূর্ণটাই তো আমার নয়,
আন্দোলিত গাছের শাখায় যে হাওয়া এসে লাগে,
নদীর বুকে ছলাৎছল ঢেউ, আর
দূর আলপথে সাদা স্তব্ধতার অনিঃশেষ আল্পনার ভিতর..
যতদূর চোখ যায়, তার ঐশী আনন্দটুকুই আমার প্রাপ্তি।
মানুষ বড় ধর্মভীরু!
নস্যাৎ হয়ে যাওয়ার আগের মুহূর্ত পর্যন্ত
প্রণামের বিনম্র বিনতি রেখে যায়।
শাস্ত্রের মালা গেঁথে গেঁথে, ক্রমাগত মায়ামেঘ সরিয়ে,
অবশেষে, ঠিকানাবিহীন সন্ধ্যা নামে!
দৃষ্টি রাখি, মহাশূন্যের ভিতর অপরিসীমের দিকে---
যা আমাদের চর্মচক্ষুর দৃষ্টির অতীত, বোধের অতীত!



টালিগঞ্জ, কোলকাতা।
রচনাকাল : ১৩|০২|২০২২