নয় ফিট বাই ছয় ফিট ঘরের দেয়ালে
দরজার আশেপাশে, তোরঙ্গের আনাচে কানাচে
সিঁড়ির নিচে অনর্গল বদলে যাচ্ছে বিভিন্ন রঙের আলো
বারান্দার টবে ইতস্তত শ্যাওলার ছোপ
আগাছা, ঘাসফুল গজিয়ে গিয়েছে চারিদিকে
বিছানায় বালিশে দিনান্তযাপনের কায় ও ক্লেশ
অভাব, দারিদ্র
তর্ক-বিতর্কের মাঝে অহেতুক উত্তেজিত শব্দবন্ধ
অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপে পারদের অনিয়মিত ওঠানামা..
তবু বেঁধে থাকা, তবু বেঁচে থাকার দিনাতিপাত
রান্নাঘরে তাই ভাতের গন্ধ
কড়াইয়ের তপ্ত তেলে ফোড়নের ঝাঁঝ!
.


সমুদ্রের কাছে যাই
বহুদূরে বিধ্বস্ত বাতিঘরে নিভে গেছে আলো
কোথাও কিচ্ছু নেই—
সামনে শুধু আদিগন্ত বিস্তীর্ণ জলরাশি..
বালুতটে চেয়ে দেখি নতজানু এক শামুক
কী অসম্ভব ধৈর্যে তার শ্লথগতি হেঁটে যাওয়া
কীভাবে অবজ্ঞা করে অনিবার্য এই মরে বেঁচে থাকা!
বুক ভরে শ্বাস নিই, সাহস সঞ্চয় করি
ভাবি, এই দৃশ্য কি প্রতিবাদের?
নাকি, আত্মসমর্পণের?
.

শামুকের খুব কাছে গিয়ে শিখি, কীভাবে
সমর্পণ, প্রতিবাদ, বিষাদ, মৃত্যুকে অতিক্রম করে
অভ্যর্থনাহীন এই ‘অনিবার্য বেঁচে থাকা’ যায়..