চারদিকে নিষ্ফলা মাঠ-ক্ষেত, চরাচর
তবুও, একটা-দুটো পাখি ওড়ে আকাশে।
কি জানি, ওরা কোথা থেকে আসে,
কোথায় বা যায়!
এইখানে পাশে বসো,
পূর্বপুরুষেরা আছেন আশিস নিয়ে।
প্রথম বর্ষায় বীজধান অঙ্কুরিত হলে,
বাতাসে ভাসে অঙ্গীকার—
প্রখর সূর্যালোকে বিষ-ছত্রাক পুড়িয়ে,
দেখো, আবার সুগম হবে শস্যের দিন!


এখন কীর্তনপালার গানে বিভোর শীতের রাতে
কিছু ধান আবার চুরি করে নিয়ে যাবে ইঁদুরেরা,
এইসব অন্নপূর্ণা সোনালি শস্য দিনে
পাত পড়ুক সবার ঘরে;
গোলা না ভরুক, বেঁচে থাক সবাই।
কৃষকের গায়ে এখনো লেগে আছে লোনা ঘাম,
হাতের কাটা আঙুলে চাষিবউয়ের শুশ্রূষার আঁচল।
কাস্তে-টা এখনো ধরা আছে হাতে—
কৃষকেরা ছুঃ-মন্তর শিখে গেলে রাষ্ট্রযন্ত্র নড়েচড়ে বসে!
আমাদের ঘরে ঘরে আজ নবান্ন উৎসব।