হে নারী!
তুমি অমন করে কাঁদো কেন
বেহালা'র করুণ সুর বাজে যেন!
ঐ নীলাকাশ-এর নীল যায় হারিয়ে
সবুজ অরণ্যানী হয় বিবর্ণ শুকিয়ে!


ফোঁটায় ফোঁটায় অশ্রু বিন্দুতে
নিঃশব্দ কবিতা রচিত হতে থাকে
বেদনার কষ্টগুলো শুষে নিতে
তোমার শুষ্ক অধর থেকে।


হে নারী!
তুমি যখন দাঁড়াও
তোমার কষ্টের মনোভূমিতে
তাকাও নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে --


বুকের মধ্যে শুরু হয়
কালবৈশাখী'র মত্ত তাণ্ডব
লণ্ড ভণ্ড হয়ে যায় হৃদয়ের শব্দ সব!


শব্দ খুঁজে বেড়াই আর শব্দ সাজাই
বানাই হৃদয় উৎসারিত কবিতা
ঢেকে দিতে তোমার কষ্টের মনোভূমির
যতো কষ্ট,... যতো আছে বিষণ্ণতা!


হে নারী!
তুমি আর কেঁদোনা বারেবারে
থেকোনা আর বেদনার সাগরে।


তাকাও যদি হাস্যোজ্জ্বল চোখে
দ্বিধাহীন উৎসর্গ করতে পারি
আমার কবিতাকে সম্মুখে রেখে।
কবিতার শব্দের পাপড়ি গুলো
উৎসর্গ করতে পারি নিঃসঙ্কোচে
তোমার পায়ের পাতার কাছে।


হে নারী!
শুধু কবিতায় খুঁজো আমায়
আমার কবিতা দাঁড়িয়ে আছে ঠায় --


তোমার দুঃখ, যন্ত্রণা আর কষ্ট গুলো
শুষে নেবার প্রতিক্ষায়.....!!


16th July, 2018
রবীন্দ্র আবাসন, কোলকাতা।