তোমাকে একটা মন্দির গড়ার দায়িত্ব দিয়েছিলাম।
তুমি মোহাচ্ছন্ন হয়ে প্রহর গণনায় ঢুকে পড়লে
ক্রমে ক্রমে বিজ্ঞান পড়লে, যুদ্ধবিদ্যা শিখলে
তারপর, প্রভূত ক্ষমতার অধিকারী হলে
উন্নাসিক সভ্যতায় চরম অহংকারী হয়ে উঠলে।
এতদিন অস্ত্র তোমার ভিতর ঢুকতে পারছিল না
আজ, তুমি নিজেই অস্ত্রের ভিতরে ঢুকে পড়লে!
চরাচর পাল্টে গেল
নদীতে জল শুকিয়ে গেল, বাতাস দূষিত হল।
পশু-পাখি, মানুষ প্রাণ ভয়ে প্রাণবায়ুর খোঁজে
ছোটে দিগ্বিদিক, দিশেহারা!
এখন তুমি ঘুমে আচ্ছন্ন
ঘুমের ভিতর অজস্র মুখ দেখ
সময় আর সময়ের ভিতর ধ্বংসাবশেষ..
ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিন্নভিন্ন করোটি, গুঁড়ো গুঁড়ো হাড়
এইসব গুঁড়োর অতি সূক্ষ্ম কণায় স্মৃতি লুকিয়ে থাকে;
সাতজন্ম পরেও স্মৃতিরা তোমাকে ঘিরে ধরে
তুমি গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন থেকে প্রলাপ বকে যাও!
এই দেশ-মহাদেশ, এই সুন্দর পৃথিবী তখন
ধ্বংস ও প্রলাপের সাক্ষী হয়ে থাকে..
জেনে রেখো—
প্রতিটা ক্ষমতার অহংকার শুধুই মৃত্যুর জন্ম দেয়!


টালিগঞ্জ, কোলকাতা।
রচনাকাল : ০৫|০৩|২০২২