যে গাছ গাছালির ছায়ায় বড় হয়ে ছিলাম,
সেই গ্রামের পাশ দিয়ে কুল-কুল বয়ে যাওয়া
কোনো মায়াময় নদী ছিল না।
শ্রাবণের বৃষ্টিতে উঠোনে যেটুকু স্রোত বয়ে যেত,
শুধু সেইটুকু, নদীর বিকল্প ছিল আমার।
হঠাৎ কুড়িয়ে পাওয়া এই ক্ষণস্থায়ী নদীর
এক চিমটে সুখ, আর আমার অনতিক্রম্য দুঃখ
মিলেমিশে ঢুকে যেত লোনা জল ঘেরা দ্বীপে।
উত্তাল মোহনার উদ্ভ্রান্ত যৌবন,
পলাশ রাঙা বসন্ত উপত্যকা ছুঁয়ে
হঠাৎ কখন যেন নদীটা শুকিয়ে যায়,
দেখি জনহীন নদী খাত, খাঁ-খাঁ বালু তট প্রান্তর;
দেখি গহীন জল কতটা নিঃসঙ্গ, একা হয়ে যায়..
বুকের ভেতর ঠুনকো জীবনের পাড়ে দাঁড়িয়ে
আমার ভালোবাসার নদীটার কান্না শুনি আজও!