তোমার সাথে আমার প্রায়শই
ধুলো নিয়ে কথাবার্তা হয়।
সোনা-রূপো নয়, রাংতাও নয়
কেবলই ধুলোর প্রসঙ্গ উঠে আসে।
এই ধুলো, কোনো রঙ চেনে না
আনন্দ বা সুখের সন্ধান চেনে না
ধুলো পায়ে জল দিয়ে ধুয়ে মুছেও
ধুলো-কে কিছুতেই তাড়াতে পারি না
রোজ ধুলো আমাদের পায়ে পায়ে
উঠোন পর্যন্ত উঠে আসে
তারপর ছেঁড়া মাদুর পেতে বসে
বিষাদ-বিষণ্ণতার স্বরলিপি লেখে।
আজকাল,
আমাদের এই ধূলিধূসরিত জীবনে
ধুলোর সাথে আর বিন্দুমাত্র বিরোধ নেই..
কারণ, জেনেছি সার কথা—
মৃত্যুর পর, —আমাদের চলে যেতে হবে,
তোমার-আমার সব কথাও ফুরিয়ে যাবে;
শুধু, সাড়ে তিন হাত জমির উপর ধুলো,
কেবল ধুলোই পড়ে থাকবে, অনন্ত নির্জনতায়..!


টালিগঞ্জ, কোলকাতা।
রচনাকাল : ১১|০৩|২০২২