মাঝে মধ্যে বস্তির অন্ধকার গলিটাও
আলোয় ঝলমল করে ওঠে!
অনুষ্ঠিত হয় রবীন্দ্র জয়ন্তী --
চেয়ারম্যান বাবুর সৌজন্যে!
আসে স্তাবক, লোক-লস্কর, দলবল
ভোট নেওয়ার এক অভিনব কৌশল!


বস্তির যুবতী মেয়েটি গায় রবীন্দ্র সঙ্গীত --
"আলোকের এই ঝর্ণা ধারায় ধুইয়ে দাও..."
বড়ো সুরেলা তার কন্ঠ!
তাই পায় হাততালি আর প্রসংশা।
ম্যানেজার বাবুর বড়ো কষ্ট হয়, ...
মন থেকে কিছুতেই মেনে নিতে পারেন না
ঘৃণ্য বস্তির মেয়ের এই প্রসংশা-প্রশস্তি।
বস্তিবাসী মানুষের যেন থাকতে নেই
কোনও গুণ, প্রতিভা বা সম্ভাবনা!
যেন ফুটতে নেই কখনও
আস্তাকুঁড়েতে কোন পদ্ম ফুল!
তাই, বস্তির দূর্গন্ধের সঙ্গে সুগন্ধকে
তিনি কিছুতেই মেলাতে পারেন না।


তিনি জানেন ধান্দা, তিনি জানেন ফন্দি।
তিনি জানেন ভোট আদায় করতে, ...
তিনি জানেন ইলেকশন জিততে।
তিনি অনেক কিছুই জানেন .....
কিন্তু, তিনি জানেন না রবীন্দ্রনাথের গানের মানে!


ঠিক যেমন জানেনা পাড়ার ঐ উঠতি মাস্তান।
কিন্তু, সে জানে --
বস্তির যুবতীর যৌবন চোখ দিয়ে গিলতে!
আর সুযোগ পেলেই --
ঐ যুবতীর শরীর ধরে অন্ধকারে টেনে নিতে!


তারপর, অন্ধকারের অন্তরালে ঘটে যায়...
নিষিদ্ধ ঘটনা!
চলে চাপান উতোর -- ঘটনা না রটনা?
মিডিয়া-তে হৈচৈ, তর্ক-বিতর্ক, কতোনা সংলাপ ...
তারপর যথারীতি নীরবতা, ..... সবাই চুপচাপ!


কারণ, আমরা জানি --
বস্তির মেয়ে মানেই ... মেয়েটা খারাপ!!


11th July, 2018
কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র।