একটু একটু করে নিজেকে হত্যা করে চলেছি
ধীরে ধীরে মৃত্যু ঘটছে আমার নিজস্ব সত্তার।
আমার ভেতরের আমি-টা কে,
মরণ টেনে নিয়ে যাচ্ছে বোধের জানালার কাছে,
যেখানে জমেছে অদ্ভুত বিস্তর আঁধার!
এই আশ্চর্য মৃত্যুর অন্য কোনো অভিমুখ নেই।
যেহেতু, মৃত্যু নিয়ে কথা হচ্ছে,
স্বভাবতই প্রশ্ন উঠে যায়—
এই মৃত্যু, —নিয়তির, নাকি নৃশংসতার?
কিন্তু, কে শোনে কার কথা,
দেয়ালের মত বেমালুম জেগে ঘুমায় মানুষ!


পূর্বপুরুষদের চোখ থেকে ফলিত আলো এসে পড়ে
অথচ, বিন্দুমাত্র খেয়াল থাকে না।
কারণ, আমিও সাদা-কালো ঘুমের মুদ্রা রপ্ত করে
নিয়েছি।
প্যাঁচানো জিলিপির কূটনীতির কাছে
যাবতীয় আপোষের বিনিময়ে—
আমার ক্ষত-বিক্ষত দেহটা টেনে নিয়ে যায় মরণ।
আমি নিরুপায়,
—তবু প্রাণপণে সত্তার শেষ আলোটুকু
ভীষণ কষ্টে টেনে রাখি জানালার কাছে!