মা দূর্গার রূপের ছটা
দেখে জুড়ায় প্রাণটি।
দুগ্গা সোরেন কালোবর্ণা
অতি সরল মনটি।।


মা দূর্গার বোধন হলো
হাজার ভিড়ে মানুষ মগ্ন।
কিশোরী দুগ্গার মালাবদল
হারিয়ে স্বাধীন স্বপ্ন।।


পড়াশুনা করবে বলে
প্রতিবাদ দুগ্গা করেছিলো...
সপাটে বাপ চড় কষালো।
বুকের আগুন চেপে দুগ্গা
বিয়ের পিঁড়িতে বসলো।।


মণ্ডপ জুড়ে আলোক-সজ্জা
হাজার নিয়ন জ্বলে।
দুগ্গা সোরেনের বিবাহ বাসর
কেরোসিন বাতি জ্বলে।।


লাল পাড় শাড়ি দুগ্গার
সিঁথিতে সিঁদুর চড়ে।
শ্বশুর বাড়ি চলে দুগ্গা
গরুর গাড়ি চড়ে।।


বিজয়া দশমীর বিদায় বেলা
এয়োস্ত্রীদের সিঁদুর খেলা।
দুগ্গা বয়ে বেড়ায় যন্ত্রণা-জ্বালা
স্বামীর পায়ে প্রাণ-মন ঢালা।।


বিসর্জনের বাজনা বাজে....
মা'কে বিদায় চোখের জলে।
বাপ পণের টাকা দেয়নি বলে
দুগ্গার শরীর জুড়ে জুলুম চলে।।


দুগ্গার শরীর ক্ষত-বিক্ষত
মেয়েদের প্রাণ সস্তা কতো!
দুগ্গা আজ ভাবে অবিরত
জ্বলে বুকের আগুন যতো।।


দুগ্গার চিতা জ্বলে জাজ্বল্যমান
গঙ্গার জলে দুগ্গার অস্হি দান।
দুগ্গার প্রতিবাদ জ্বলে লেলিহান
দুগ্গার বুকের চিতা চির বহ্নিমান।।