বৃদ্ধার চোখে দেখে জল
করেছিলাম তাকে প্রশ্ন !
কি হয়েছে বুড়িমা ?
কেনো এতো বিষন্ন ?


চোখের জলে আঁচল ভিজিয়ে
মুখ তার হলো মলিন !
উত্তর আসিল পরে -
আজ কে খোকার জন্মদিন !


কি বলিব তায় , বুঝিয়া না পাই
সান্ত্বনা দিব কেমনে ?
কহিলাম শেষে যে দেখে না তোমায়
তারি জন্য কেনো কাঁদো হে ?


দশমাস ধরে কষ্ট সয়ে
ধরেছিনু তারে পেটে !
বুঝি নাই খোকা সে পেটেতেই
মারিবে লাথ শেষে !


সেই ছোটো থেকেই , প্রতি জন্মদিনে
খাওয়াতাম তারে পায়েস !
শত আল্হাদে , শত প্রল্লাদে
করিত সে আয়েস !


ভাবিনাই খোকা ভুলিয়া যাবে
মায়ের সবই ঋণ !
অসুখ হলে পরে মঙ্গল কামনায়
কাটতো মোর সারাদিন !


দোষ দিই নি কারো
হয়তো সবই ছিলো ভাগ্যে লেখা !
তাইতো খোকার কাছে পাইনি ঠাঁই
বৃদ্ধাশ্রম হলো লেখা !


মুখের ভাষা হারাইয়া
করিলাম তারে প্রশ্ন
অমন ছেলে জন্মানোর চেয়ে
না জন্মানোই ভালো !


জন্মের সময় দাওনি কেনো
তার গলা টিপে ?
হয়তো বা মারতে পারতে
খাওয়াইয়া বিষ তাকে !


প্রশ্ন শুনিয়া , তারঃস্বরে
হাকিলেন বুড়িমা -
কেমনে টিপিবো গলা ?
আমি যে মা !


বুঝিলাম আমি থাকিলে সেথায়
বুড়ির মন হবে ভারাক্রান্ত !
চলিলাম আমি , প্রণমি তারে
ক্ষণিক করিয়া শান্ত !


অদূরে গিয়া , ঘুরিয়া দেখি
তখনো বুড়ি মুখ লুকিয়ে কাঁদে !
এ চোখের জল কি কখনো
লুকায় আঁচলের ভাজে ?