উন্মত্ত জীবন সব সমুদ্রের মাঝে; নেশায় মশগুল
হৃদয়, অবাস্তব স্বপ্ন দ্যাখে । তবুও
রাত পোহালে ভোর, কিছু আটকে থাকে নিঃশ্বাসে ।
বাতাবি লেবুর গন্ধে মোতাত সব পাখি, আকাশে ।
জাহাজ বোঝাই করে মেয়ে আসবে, সব পুরুষের জন্য
তাদের লালসায় মারণ বিষ যত;
মেশায় সাগরের জলে । নোনতা স্বাদে ভারে
যাদের চোখের জল, তারা সব রেলিঙের ধারে
একাকী বকের ডানায় চোখ রেখে
কুপিত স্বপ্নে বাস করে । চুপচাপ
কোন এক শিশু, সবুজ দ্বীপের স্বপনে
সাদা ঘোড়া ছুটিয়ে চলে, রূপকথা কথনে ।
এখনও চলে বেচাকেনা নারী শরীরের,
ভাঙা হাটে রয়ে যায় শুধু,
কান্না হারানো সরমের শেষ বাচার ইচ্ছে;
জহ্লাদের হাতে ওঠা নামা দরদাম, সব ইচ্ছে ।



ইচ্ছে ছিল, তোমার আচলের বালি হব;
সে দিনও, তোমার পাশে হাটতে হাটতে
ভেবেছি এই কথা । বিকেলের রোদে,
তোমার ছায়া জলে, ভাসমান রূপকথা বলে।


নদীর চরে, দুহাতে বালি খুড়ে
খুঁজে পাওয়া তোমাকে। দূরে কথাও
মাঝ নদীর নৌকা থেকে, বালি ভেঙে
হেটে আসা আলো, ধিকিধিকি জ্বলে ।


এক ঝাঁক পাখি, ফিরে চলে পুরাতন
আকাশের খোঁজে; দূর নীলে হারিয়ে গেলেও
ভালোবাসার স্মৃতি সব রয়ে যায়, একাকী
সুখ খুঁজে চলা, স্মৃতি-হারা বালুচরে ।


সূর্য ডোবার পালা শেষে, সাঝতারা
বলে দেয় বাড়ি ফেরার পালা । শরীরের
ঘামে লেগে থাকা দুই চারটে বালি কণা
সাথী হয়ে ফেরে; আমার খেলাঘরে ।