এক হরিণ অনেকক্ষণ ধরে
উপভোগ করছিলো, এক বুক আকাশ
অনুভবের স্পর্শ ছড়িয়ে, বাতাস হতে সবুজ ঘাসে
অনেক ক্ষণ চেতনা জুড়ে ছিল, ফুল আর পাখিরা
বন্ধু করেছিল বহমান নদীকে


তবু, কবে কেউ একজন ঠিক করে দিয়েছে
তার ইচ্ছে মৃত্যুর পরোয়ানা
অন্য কারোর হাতে তার, ভবিষ্যৎ ভাবনা


সেই সমায় এক বাঘ এলো
তেজী, সাহসী, সৌম্যদর্শন
তার সৌন্দর্যে বিমোহিত সকল আবেশ


হরিণেরও চেতনা জুড়ে শুধু ভালোলাগার মূর্ছনা


বাঘটাও তার দিকেই আসছিল, সে চেয়ে রইলো
কিন্তু এতো আগুন কেন বাঘের চোখে
এতো হিংস্রতা কেন, দাঁত, মুখ আর ছুঁচলো নখে


ভয়ে বন্ধ হয়ে এলো চোখ
কেঁপে উঠল হৃদয়
দেহ পাথরের মতন স্থবির


এক ঝাঁক ধারালো দাঁত নখ
নিপুণ হাতে উপড়ে নিলো হৃদয়
একে একে দখল নিলো, ইচ্ছে, স্বপ্ন, ভালোবাসা


গভীর রাতে, পোড়া ভালবাসার গন্ধে
অজস্র চোখ ঘোরাফেরা করে, তবুও
মৃত হরিণের চোখের জলে, জ্যোৎস্না ঝরে


কিছু দিন পরে, বাতাসে হলদে ফুল
ফিসফাসে তোমার কান্নার সুর,
সবুজ ঘাসের ফাঁকে, তোমার ইচ্ছের মরণ


তবুও, অন্য কোথাও, অন্য কোনও হরিণ
এবারও ভালবেসে ফেলে
কোন এক বাঘকে।