১) জাতিস্মর


চলো, আগুন ছুঁয়ে জন্মান্তরে যাই;


যেভাবে তোমার ঘ্রাণ মিশে যায় আমার ভিতরে
আমার কান্নারা তোমায় ছুঁয়ে দিতে চায়,


যেভাবে তোমার ভাবনা আমাকে গড়ে প্রতিদিন
আমার ভেঙে পরা তোমায় ধ্বংস দিয়ে যায়,


প্রতিদিনের অবান্তর হাসিঠাট্টা থেকে দূরে আজ
চলো, আগুন ছুঁয়ে জন্মান্তরে যাই।


তারপর; আমাদের যা কথাবার্তা, সব ফিরে আসে। শিতের রাতে ওম নিতে নিতে জানিয়ে দেয়, বর্তমান শুধু তুমি আমি নয়। সব ফেলা আসা মুহূর্তেরা আমাদের মাঝে লুকিয়ে। হাত, পা, ডানা ঝাড়া দিয়ে শুরু সব ওড়া উড়ি। আজও না হয় চলুক, ফিরে দেখা।


না আমাদের বহু জনমের দরকার হয় না; এই জনমেই আমরা সবাই জাতিস্মর।


চলো, আগুন ছুঁয়ে জন্মান্তরে যাই।


২) জন্মান্তর


বেঁচে থাকার প্রতি লোভ জাগে;
নীল মাছের আনাগোনা,
কান পেতে শব্দ শোনে, ফিরে দেখার ভাবনা
যা কিছু পেতে পারতাম বা পাইনি
অনুশোচনা তাদেরকেই ফিরেয়ে আনে।
সে এক অদ্ভুত সময়
বাইরে পড়ন্ত রোদরে ভাঁজে কানামাছি খেলে শীত
উদ্দাম কৈশোর
বিকালের ভিড় ঠেলে এক দৌড়ে ছুঁয়ে দেয় আমাদের জন্মান্তর।
হাত ধরে কবেকার পরিচয়
তুমি, তুমি হতে
                          আর
আমি, আমি হতে                     পারিনি।


পার্কের এক প্রান্তে হাত ধরে বসে বেঞ্চ
সন্ধ্যা মালতীর গন্ধে
কিছু শব্দ নিজের মতই বেঁচে আছে।