বিতানপুরের রাস্তায় শব্দ খুঁজে চলি ...
                                   আমি। ধুলোয়
জড়িয়ে রাখি তোমাদের চলে যাওয়া।


কি যেন বলছ?
দূরের ট্রেনে ফিরছে বাউলিনী। আজ গান শুনবো।


বোবা রেললাইন ধরে যে পথ যায়
সেই পথ ধরেই চলি ... তোমার পাশে
শেষ শীতে, মাঘী পূর্ণিমার রাতে শুনিয়ে ছিলে যে গান,
সেটাই শুনবো। বায়না আমার।
তুমি বলবে ধুর পাগল; ও গান কি আর মনে আছে।
তার পর এতটা পথ ...
তুমিই যেন কখন, আনমনে ধরবে নতুন গান।
তোমার সুরে বিতানপুর জ্বেলে দেবে জোনাকি
হাত ছাড়িয়ে তারারা ছুটে আসবে, ভৈরবী নদীর তীরে
পাখিরা স্থিত হবে নিজ নীড়ে।
আমি ভুলে যাবো পুরানো গানের বায়না কথা।


ফিরে আসার পথে বুঝতে পারি
                   ও গান জানো ... তুমি বাউলিনী
কিছুই ভুলতে পারো নি। ভুলতে দেও নি নিজেকে।
না গান।
নাহ!
       সেই চশমা আর ধুসর পাঞ্জাবীপরা লোকটাকে।