এক) বুঁদ


অনুভূতি পুড়িয়ে, শেষ লাইন যা দাঁড়ালো।
-“দাদা বেশি কথা বলবেন না, পুরো হাপিশ হয়ে যাবেন”।


নড়বড়ে পা দুটো কে কোন মতে দাড় করিয়ে। গুণীজন দের জন্য তারস্বরে করতালি


ও ঘুম হীন রাতে, বাদামের খোলস খুলে চাঁদ দর্শন


এর পর মধ্যবিত্ত পায়জামা ও দড়ির খেলায় বুঁদ হয়ে থাকি।


দুই) কেমন আছো?


এক পলকই যথেষ্ট
-"কেমন আছো"?
শব্দ দুটির মাঝে যে নিস্তব্ধতা জমা আছে
তা বুঝে নিতে।
দূরে চলে যাওয়ার প্রস্তুতি হিসাবে
আমরা একে অন্যের কাছে জমা রাখছি, দীর্ঘশ্বাস
কয়েক ধাপ সিঁড়ির
ওঠা আর নামা
ব্যস্ততার অজুহাতে, এখনো ঝুঁকে পরে চোখে
খচখচানি জমা রুমালে
বিন্দু বিন্দু ঘাম শুষে নিতে নিতে; যে দৃষ্টি
এখনো বুক কাঁপুনি ধরায় ...
তার থেকে
পালিয়ে, ভালোই আছি।


তিন) উৎসব


শব্দহীন এখন, অস্তিত্বহীনও বটে
ফেলে যাওয়ার তোমার দৃষ্টিদের সবে মাত্র ঘুম পারালাম।
কোন খোঁজ পাইনি, তোমার বা তোমার পদচিহ্নের।
শুধু ক্যালেন্ডার জুড়ে, লাল দগদগে ক্ষতচিহ্নের ...
উৎসব।