আচ্ছা, কাব্য করে কি হবে? যদি না মেটে খিদে
পেটের খিদে না মনের? মুখ যদি না যায় সিধে?
মুখের আর দোষ কি? সে যে দেখছে প্রলোভন
আমার চাই আরও চাই তাই করছে আয়োজন।


জমার ঘরে কাড়াকাড়ি কেবা আগে কেবা পিছে
হাতের ভেতর শূন্য দেখে জীবনকে কয় মিছে,
শূন্য শুধু শূন্য নয় আরও হতাশ তোমার জন্য
খিদের তখন কত কি রূপ যেন নগ্ন হাসি বন্য।


সেই বনেতে জ্বালিয়ে আগুন রক্ত বিন্দু খেলা
তুমিও ভাবছো, লে লুটে লে সৃষ্টির অবহেলা;
মেতে থাকা আমি লোভে কুড়িয়ে বেড়াও যত
দেখতে সবই খুদ কুঁড়া আর কালি ঝুলির মত।


তারও পরে ঘরে ফেরো, হাতে ফুলের গোছা
হৃদয় নিয়ে খোঁড়াখুঁড়ি, কি যেন কি খোঁজা
চাঁদের দিকে তাকাতে হয়, পাশের মুখে মিল
হাতের পরশ কান্না হাসি, স্বপ্ন আকাশ নীল।


ফুলের বুকে চাঁদের মুখে আরও যে যার দেখা
ভালো লাগার মন যমুনা কাব্য করেই লেখা,
সেই কাব্য লিখতে লিখতে গাইতে গাইতে তুমি
এই পৃথিবী বানিয়ে ফেলছো তোমার রাজ্য ভূমি।


তাহলে ভাই, তুমিও দেখছি কাব্য করতে জানো
ওসব আমি বুঝি না বলে, নিজেকে বেশি মানো।