মানুষ হওয়ার জন্য বার বার
বিকিকিনির সদর দরজায় দাঁড়াতেই হয় ,
নিজেরই কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে দিয়ে
মেরুদণ্ডের কাঠিন্য বুঝে নিতে হয় ,
পাশ কাটিয়ে যেই নেমে পড়ি
অন্ধ গলির দু একটি ধাপ
বুঝতে পারি আসছে চেনা চেনা গন্ধ
সূর্যের দাপটে নিজেদের ধুয়ে নিতে চায়
দু চারটে পাষণ্ড ;
বোবা কর্মের বর্ণমালায় আকাশ ছেয়ে যায়
রক্তের রঙে বিকেল গড়িয়ে আসে
কোন না কোন বাহুডোরে
রাতটুকু পার করে দিতে বড্ড ইচ্ছে করে ।


নেশায় বুঁদ হয়ে যদি অবকাশ পিছলে যায়
ফাউ শালীনে চেনা বাড়িটা যদি বেঁকে যায়
অসময়ে যদি যমদূতের কাঁসর ঘণ্টা বেজে ওঠে
রাস্তার মোড়ে ইজ্জতের ফালুদা করতে
কেউ যদি দাঁড়িয়ে থাকে
বলা নেই কওয়া নেই যদি তুমি মুখ ফিরিয়ে থাকো
বিশুর চা দোকানে পাছে যদি কেউ কিছু বলে ফেলে
সেই ভয়ে মানুষ হওয়ার কত কি কলকাঠি নাড়তেই থাকি
আর বিদ্যুতের রেখার মত বার বার মিলিয়ে যাই ;
যুগের দর্পণে অস্পষ্ট মনুষ্য হাতুড়ি মেরে
নিজেই নিজের বাঁকা মেরুদণ্ডে ঝুলেই আছি ।