ভবতোষবাবুর বাড়িটা বড্ড ফাঁকা


অনেকবার উত্তরহীন দরজায় গিয়েছি
-কেউ আছেন নাকি বাড়িতে
কোন আওয়াজ পাই নি
চিঠিটা রেলিং-এর ফাঁক গলিয়ে
সাইকেলের প্যাডেলে পা দিই


লেটারবক্সের দাগটা থেকে গেছে আজও
দোতলা থেকে একমাত্র ছেলে বলত
-কাকু, আমার আছে নাকি?
সে জানলা বেশ কয় বছর বন্ধ


এ বাড়ির চঞ্চল মেয়েটি
যাকে দেখতাম দত্তদের হ্যান্ডসাম ছেলেটার সঙ্গে পার্কে
অন্য একজনের সঙ্গে তার লাভ-ম্যারেজের পর
এ বাড়ির হাওয়া গুমোট


প্রথম প্রথম দিতাম
ছেলের পাঠানো আমেরিকার রকমারি
ওর বউটাকে একবার দেখেছি
মনে হয়েছিল পরীদের দেশের কেউ
এখন বছরে দু-একবার
ইন্সোরেন্সের খাম আসে


তারা সব ভুলে গেছে
পলেস্তরা খসা ছাদের গাছ জন্মানো
শ্যাওলা পড়া রং চটা বাড়িটাকে
মুঠোফোনও বাজে কি বাজে না কে জানে


এখনো গল্পের ছলে ভবতোষবাবু বারবার বলেন
-ওরা একদিন ঠিক এসে আমাদের নিয়ে যাবে


অবশ্য সে সব আমি কবে দেখব কে জানে