এই তো কিছুদিন আগে আমি ভেবেছি
আমার দেখা সব মেয়ে এক একজন দুর্গা,
আমি আমার মনের সব অস্ত্র তুলে দিয়েছি তাদের হাতে
সমস্ত অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে
লড়াই করার জন্য।
এবার সেই সব মেয়েরা আমার লক্ষ্মী,
ধনে প্রাণে ও মনে আমার যা কিছু
অতীত বর্তমান ও ভবিষ্যতের সঞ্চয়
সবই পাওয়ার ও দেওয়ার উপলব্ধিতে
ওদের চঞ্চলা কমলা ও রক্ষা করার কোজাগর করেছি।
এবার ওদের নিজেদের চামুণ্ডা মুণ্ডমালিনী
শক্তিরূপেন রণরঙ্গিনী নিনাদ দীপ্য সাজে  
পৃথিবীর বুকে মনুষ্য রচনার জন্য
আমি আমার কপাল বাড়িয়ে দিয়েছি
ফোঁটায় ফোঁটায় ভরে উঠল আমার ললাট।


সবাই যে সিংহের উপরে চড়ে জয়ী হবে
পুরুষাকারের ভেতরে নারীর সম্মান বোধ জাগিয়ে তুলবে
ত্রিশূলের আগায় অশুভ বুদ্ধিভ্রষ্ট অসুরকে বিদ্ধ করবে
কিংবা নিজ হাতে অ-বোধের মুণ্ড নিয়ে নৃত্য করবে
প্রেমের বন্দনা সুরে জীবন সঙ্গীত গাইয়ে দেবে সারা পৃথিবীকে
তা তো নয়।
তবু
পুজো শুধু যে পুতুল গড়ে মন্ত্র উচ্চারণে সাধিত হয় না
নারী মর্যাদার পরম্পরা সামাজিকতায়
গড়ে তোলার অঙ্গীকারে
উৎসব আসে উৎসব যায় উৎসব হয়।
জীবনের রঙ্গমঞ্চ হৃদয়ের অনুভবে গড়ে তুলতে
কখনও মা দুর্গা কখনও বা মা লক্ষ্মী কখনও কালীকরালবদনী
কখনও সিংহবাহিনী দানব দলনী রূপে
ইহ তিষ্ঠ ইহ তিষ্ঠ সর্বভূতেষু
প্রতিটি নারী
কর্মে দশভূজা, গুণে লক্ষ্মী, বিদ্যায় সরস্বতী
এবং অশুভ বিনাশকারিনী;
ভক্তিভরা ফুলে অঞ্জলির শুভক্ষণে
আমরা যেন এসব বুঝতে শিখি
আমরা যেন এসব পুজো করতে শিখি।