গামছায় ঘাম মুছে
কাঠামোতে আর একবার মাটির প্রলেপ দিতে দিতে
দুপুরের চড়া রোদের পাশে দু এক টুকরো সাদা মেঘ দেখে
কানাই পাল ভাবছে
শরৎ তাহলে এসে গেল।
এবার শোলার কাজে
আরও চমকে দেওয়া সূক্ষ্ম কাজের ফাঁকে
মতি ঘরামী বাচ্চাটার ছেঁড়া জামার দিকে তাকায়
বউকে আশ্বাস দেয়, চিন্তা করো না
শরৎ তো এবার এসেই গেল।
একটুও বাতাস নেই
ধূলো উড়ছে চারপাশে
উঁচু প্যাণ্ডেলের মাথায় বাঁশে দড়ি বাঁধতে বাঁধতে
মণিরুল জিজ্ঞেস করে - চন্দ্রভাই, কালকে একবেলা ছুটি দিও
ছেলেটার জামা কিনেছি দিয়েই চলে আসব।
চন্দ্র হাসে - তোরও তাহলে শরৎ এসে গেল।
ভালো করে আবার মন্ত্র আওড়াতে আওড়াতে
কানু পুরোহিত চলেছে ফ্ল্যাট বাড়ির নিত্যপূজায়
দুর্গার বড় প্রতিমা মনে করে
তার মনেও শ্রদ্ধা এসে গেল
শরৎ তাহলে এসে গেল।
সকালে শিশিরের দেখা নেই
এই বৃষ্টি এই ঘেমে নেয়ে একসা হয়ে
কাজের মাসি অপর্ণা
বোনাস পেয়ে আকাশের দিকে তাকাল
শরৎ তাহলে এসে গেল।
দূরে
অনেক দূরে কাশের ঢেউ পেরিয়ে
বাতাসও ছড়িয়ে দেয় খুশির খবর
শরৎ তাহলে এসে গেল।