একজন ইঞ্জিনিয়ারের স্বপ্ন সাকার করে
পাঁচ দশ হাজার লেবার,
একজন ম্যানেজারের কর্ম পদ্ধতি দেখভাল করে
বেশ কিছু সংখ্যক কর্মী,
একজন নির্মাণ শিল্পীর শিল্প ফুটিয়ে তোলে
কয়েকশত কারিগরের হাত,
একটি কারখানার কাঁচামালের যোগান দেয়
শত শত মুটে মজদূরের হাড়ভাঙা শ্রম,
একটি প্রস্তুত দ্রব্যের আমদানি রপ্তানি হয়
হাজার হাজার বহনদারের পিঠে চেপে,
এক রাজ্য ছাড়িয়ে অন্য রাজ্যে অন্য দেশে
প্রতিটি ঘরে ঘরে যে নিত্য প্রয়োজনীয় পৌঁছে যায়
তা কেবল লক্ষ লক্ষ ডেলিভারি বয়ের
পৌঁছনো দিনের জন্য,
মাঠ ফসলে লেগে থাকে কৃষকের দু চোখ ভরা স্বপ্ন।


এভাবে এক একটি তৈরি জীবনের পেছনে
হাজার লক্ষ কোটি শ্রমিকের ঘাম শ্রম লেগে থাকে ;
তবু তারাই হয়ে যায় পথহারা গৃহহারা কর্মহারা।
তারাই ঘরে ফেরার দিগন্তে তাকায়,
কখনো ট্রেনের বাসে গাড়িতে ঝুলন্ত
কখনও বা ফোস্কা পায়ে
কখনো বা ক্ষুধা তৃষ্ণার ক্লান্তিতে
মারা যায় মরে যায়।
লেবার-কন্ট্রাক্টর কমিশন নেয়
আবার সুযোগ বুঝে তাড়িয়ে দেয়
জীবনের এপার থেকে ওপার কিংবা
ওপার থেকে এপার।
আর শ্রমিক, তারই নির্মাণের কাছে
হয়ে যায় ব্রাত্য, না ঘর কা না ঘাট কা।


যদি শ্রমিক হাত তুলে নেয়
কি দাম আছে ইঞ্জিনিয়ারের? অফিসারের ম্যানেজারের?
কোথা থেকে আসবে কাঁচা মাল?
কে পৌঁছে দেবে ঘরে ঘরে নিত্য জীবনের বার্তা?


হীরক রাজার দেশে হীরার শ্রমিকের উপর
অত্যাচার অনাচার ছিল সবচেয়ে বেশি
এখনো তাই আছে
পরেও হয়তো তাই থাকবে।


শ্রমিক তুমি শ্রমে অবিচল হও
জীবনের স্থিতিশীল হও
সব মানুষের জীবন হও।