কেওড়াতলায় গিয়ে দেখি ভূতের আড্ডাখানা
দিব্যি আছে একই রকম জ্যান্ত ভূতের ছানা,
দু হাতে তাদের লম্বা নখর শনের মত চুল
পায়ের পাতা উল্টো করা মুখটা কালির ঝুল।
কারো মাথা পেছন দিকে কেউ বা হাতে রাখে
কারো আবার শরীর নেই হাওয়ায় ভেসে থাকে,
চোখ মেলে তাকানো যায় না কালো বিদ্ঘুটে
হাড়গোড় সব জোড়া লাগানো বিচ্ছিরি ঘুটঘুটে।    
খনখনিয়ে কি যে বলে যায় না বোঝা মোটে
রাতের বেলা দেখলে মানুষ ভীষণ যায় চোটে।


কাছে গিয়ে ওদের আমি বললাম হেঁড়ে গলায়
এখন আর কেউ ভয় পায় না তোদের চেহারায়,
ইণ্টারনেটে আপডেট কর হয়ে যা আরো ভয়ঙ্কর
মানুষ তবে ভয় পেয়ে আর করবে না অনাদর।
না হলে মানুষ উঠতে বসতে করবে ভূতের শ্রাদ্ধ
মানুষের চেয়ে বড় ভূত আর নেই যে বরাদ্ধ।