সেদিন ঐ নিকুঞ্জ বনে, শুক্লা পক্ষের চাঁদ ডুবে যাওয়ার অম্লান ক্ষনে,
মুখটি তখন বুকে চেপে বলেছিল মানবী,
সে থাকবে
এই ধরনী তে শুধুই আমার তরে,
ধরিত্রীর এই হাজারো সংকীর্নতার মায়াজ্বাল বুকে জড়িয়ে ।
আজ নয় তো কাল,
কাল নয় তো পরশু ।
হতে পারে চৈতালী রোদ্দুর ঝলকানো কোন বিস্রামরত খড় আবেগের দুপুরে!!
অথবা অক্লান্ত ঝড়ে যাওয়া কোন এক বরষার সন্ধ্যায়
মানবী আমায় নেবে আপন করে
একান্তই নিজের করে ।
আশায় আশায় বেলা যাচ্ছে,
যাচ্ছে কেটে কত শত প্রহর!
আরো চলে যাবে কত ক্লান্তিময় দুপুর,
বিনম্র বিকেলের কোলে অমলিন যামিনী কে ঠেলে দিয়ে
পালিয়ে যাবে রক্তিম গোধূলী বেলাও ।
তরু লতারা রুপ পাল্টাবে,
প্রবীণের ভেতর নবীন গজিঁয়ে নতুন শিকড় মেলে !
এখনো বাহারি পোশাকে,
ছোট্ট গাড়িতে টুংটুং শব্দে বাজিয়ে
ঐ আইসক্রিম ওয়ালা টি রোজ হাঁকে,
কড়া রোদে একটু ছায়ার আশে
দাড়কাক গুলো হন্যে হয়ে খোজে
একটি নিস্তব্ধ গাছের মরে যাওয়া শাখা ।
বেলাগুলো ধীরে ধীরে চলে যাচ্ছে
আমার আশাগুলোও
অতল গভীরতা খুঁজে পাচ্ছে ।
কার্নিশে জমে পড়া ধুলোর আস্তরন
তার কিরনমালী জাগাচ্ছে অক্ষত কিছু তমিস্রা হঠিয়ে,
ক্রুদ্ব মৌনতা মাঝেমাঝে স্বর্বগ্রাশী চোখে তাকিয়ে থাকে
শীতকালের শুকিয়ে যাওয়া নদীর মত
আমার অভুক্ত আশাগুলোর পানে ।
অবুঝ প্রান হাড়ায় দিশা
চারিদিকে যে আজ শুধু
মানবীর অমানিশা ।
বার্ধক্যে নুয়ে পড়া
ঐ নিমগাছ টির তলে,
অস্থির চিত্তে আশাদুত ঘুরে!
পালা বদল করে, সময় গুলো চলে যাচ্ছে
তবু আজো আমি সেই মানবীর আশে
অনুভব করি নিজকে
মানবীর আশে পাশে ।