যদি কোনো এক কুয়াশাঘেরা পূর্নিমা চাঁদ
ডেকে বলে ,
“তোমার চোখের স্বপ্নগুলো কোথায়? "
যদি কোনো ঢেউয়ের সাজানো বাগানে নদী প্রশ্ন করে,
“ তুমি বদলে গেছ কেন? "
যদি সদ্য ফোঁটা সন্ধ্যা মালতীটা
অথবা শুকিয়ে যাওয়া গোলাপের সাদা পাপড়ীটা এমনই কোনো জিজ্ঞাসার তীর ছোঁড়ে হৃদয়ে!
তখন কি করব ?
ক্লান্ত চোখের বারিধারা দেখব ?
নাকি বুকের ভেতরের ক্ষতটা,
স্বপ্নের লাশ বেঁধে নিশাচর হওয়াটা,
রিক্ততার চাষ করা নিয়তি,
আবেগের ক্যান্সার,
নাকি উর্বর অলসতা?
কোনটা বলব ?
জীবনের কয়েকটি বছর কিভাবে শতাব্দীর প্রলাপ হজম করে ফেলে এক গ্রাসেই!
একটি অভিযোজন ক্ষমতা,
একটা রাজত্বের বিভাজন,
অসম প্রেম!
নাকি ব্যর্থতার ব্যকরণ?
বিচ্ছিন্ন অনুভূতিগুলোকে কবিরা গুছিয়ে রাখে যত্নে,
আর!
আমার অপারগতাগুলোতে প্রলেপ দেয় অসমতার ৷
তোমরা বাহাদুরি বলো আর আমি উন্মাদ,
তোমরা অভিনয় ভাবো আর আমি বিষাদ ৷
তোমরা বাস্তবতার উপমায় গ্রেনেড সাজিয়ে চালাক,
আর অনুভূতির দেবতা হয়ে যায় উলঙ্গ দালাল ৷
আমি ব্যাবচ্ছেদ দ্যাখার পরে আর কিভাবে উত্তর দেবো?
আগামীর কথা ভোর হলে বলতে চেয়েছি
তাই বলে রাতে ঘুমিয়ে যাবে বর্তমান!
এ এক অলিখিত পরিচ্ছেদে হারানো তৃষ্ণা,
কোন আকাশের ফুল ছিলো না ৷
শুধু প্রত্যাশা আর মানবতা ছিলো,
ছিলো ভালোবাসা আর বুনো পরিনতি,
ছিলো চাঁদ বানানোর প্রত্যয়,
ছিলো হৃষ্ট পুষ্ট ঋণ আর প্রণয়ভাতি ৷
কষ্টহীন প্রণয় কিভাবে ক্ষত বিক্ষত হয়ে
নিজস্ব প্রতিচ্ছবি মুছে ফেলে ?
একটা খেয়লীপনা কিভাবে অতীত বর্তমান জ্বালিয়ে বানায় নতুন যন্ত্রের ভবিষ্যৎ?
যন্ত্র! হৃদয়টা আজ তাই ৷
কোনো অনুভূতি, অভিযোগ, অভিমান নেই ৷
শুধু রিক্ততার চাষ
আর কিছু পরিচিত সর্বনাশ ৷