গ্রীষ্মের দাবদাহতায় পুড়তে থাকা এই হৃদয়ে
শুধুই দুর্গন্ধ-রক্তের দাগ-অন্ধকার,
আমাকে কাছে টেনে নিলে সর্বনাশ হবে তোমার!
তবুও কেন সরে সরে আসো?
কেন বুঝতে চাইছ না?
আমি পৃথিবীর পারে,
আরেক পৃথিবী হয়ে; পড়ে থাকা ঝরা পাতা!
আমাকে যত্নে রেখো না!
আমার শীড়ায় শীড়ায় ব্যথা-
সময়ের ঘূর্ণিঝড়ে বাড়তে থাকা বার্ধক্যের ভার-
আর রক্ত-সংঘাত- যুদ্ধ- অন্ধকার!
জন্মান্ধ অন্ধকার!


তুমি এসে আলো জ্বালাবে কিসে? আমি ব্লাকহোল!
অন্ধকার আমার চালিকাশক্তি- একমাত্র সম্বল;
তাই নিয়ে বেশ আছি! দেখতে পাচ্ছ না তুমি?
আমার শরীর শুকিয়ে কাঠ- আমার শরীরে মৃত্যুর স্বাদ,
আমাকে কুড়িয়ে নিও না যত্নে;
আমাকে বরং আগুন দাও-
জ্বালাও-পুড়াও-
ছাই করে উড়িয়ে দাও- উত্তরের হাওয়াতে;
যদি কোনদিন পারি সতেজ হতে-
বসন্তের পাতা হয়ে লুটিয়ে যাবো তোমার পায়ে!


অথচ- তোমার কণ্ঠে সাম্যের গান,
তুমি গাইছো সাম্যের গান-
"যে এই পরিচয়ের শুরু টা জানা-অজানার,
নিয়ে গেলে যাক; সে উৎসুক তা আজন্ম দূর!
নিখিল সমুদ্র পারে একদিন;
সূর্যের লাল থেকে অন্ধকার,
তার অন্ধকার থেকে লাল আবার।
আমার পচা গলা হাতে তোমার কোমল হাত;
ছুঁয়ে কাটুক; অন্ততঃ একটা দিন!
দেখা হোক-সব অদেখা,
জানা হোক-সব অজানা।"


অথচ তুমি জানো না!
আমি কালে কালে লিখেছি; অন্ধকারের স্বরবর্ণ -
আমাকে তুমি যতোটা সুন্দর ভাবো,
আমি ঠিক ততোটা নগণ্য!