রাধিকা চলে যে গো প্রেম অভিসারে ,
চরনে নূপুর তার বাজে বারে বারে !
চলিতে নূপুর পায়ে রুনু ঝুনু বাজে ,
এদিকে না বসে মন ,শ্রীরাধার কাজে !
শ্বাশুড়ী ,ননদী ,ঘরে দেয় গুরু গঞ্জনা ,
বাঁশী ডাকে " রাধা " বলে ,মন মানেনা !
ওগো বাঁশুরীয়া ,থামাও মোহন বাঁশী ,
ঐনামে ডেকোনা ,আমি গৃহে পরবাসী !
এলাইয়া এলোকেশ ,যেমতি যোগিনী বেশ ,
আলু থালু বসন তার ,না বাঁধে কবরী কেশ !
কৃষ্ণ মেঘ দেখে তার কৃষ্ণ মনে আসে ,
কি করে যাইবে রাধা ,শ্রীকৃষ্ণ সকাশে !
জল ফেলি জল আনিতে চলে যমুনায় ,
গাগরী ভরনে রাধা  অভিসারে যায় !
যমুনার তীরে কৃষ্ণ কদম্বেরী শাখে ,
বাঁশীতে ফুকারী কৃষ্ণ ,রাধা -রাধা ডাকে !
চলেনা চরণ ,সদা লোকলাজ ,ভয় মনে ,
কি করে করিবে দেখা ,কালিয়া বঁধুর সনে !
আমি যে অবলা ,নাবুঝি তব ছলা ,কলা ,
হৃদি মাঝে সদা ভাবে ,হা-কৃষ্ণ ,হা-কালা !
বাঁশীতে সদাই  তুমি " রাধা" বলে ডাকো ,
শ্বশুড়ী ,ননদী ঘরে ,কেন বোঝ নাকো !
আয়ান ঘরনী আমি ,কূলের কুলবতী ,
চতুর,নিঠুর কালাচাঁদ ,কেন বাঁশীতে ,ডাক দিবস রাতি !
থাকিতে না পারি গৃহে ,মন বসে না কাজে ,
না হেরিলে কৃষ্ণকালা ,শেলসম বাজে !
রাধা চলে অভিসারে ,চুপি ,চুপি চুপিসারে ,
পাছে কেউ দেখে ফেলে ,বুক দুরু দুরু করে !
চরণে নূপুর তার রুণু ঝুনু ধ্বনী তোলে  ,
না বাজে নূপুর,"রাই" থমকি থমকি চলে !
যমুনার কাল জল ,বহে কলকল যথা ,
গাগরী ভরনে চলে রাই কমললতা !
যমুনার জলে হেরে রাই ,শ্যাম কালার রূপ ,
হেরিয়া শ্যমরূপ ,রাধার ভরে উঠে বুক !
"কোথা গেলে কৃষ্ণ সখা দেখা দাও"বলে ,
কৃষ্ণরূপ হেরে রাধা যমুনার জলে  !
কালিয় দমন কালে , ,কালিদহের জলে ,
ত্রিভঙ্গমুরারী হরি ,ভক্তে দেখা  দিলে   !                            
নিধুবনে কৃষ্ণরূপ ভজিবার কালে ,
কৃষ্ণকালী রূপ  তুমি আয়ানে দেখালে !
ছলনায় ভুলাও তুমি ,ওগো দয়াল মতি ,
ঢাকো মোর লাজ ভয় ,ওগো জগৎপতি !


               **********
সকাল ৮-৩০ মিঃ ,কলকাতা
২১ /১০ /১৬ ,শুক্রবার