তপ্ত দিনের দাব দহন  শীতল করিল এসে ,
দিনান্ত শেষে বরিষণ এসে ভূবন ভাসাল যে ।
গুরু গুরু মেঘ ঐ গরজে দামামা বাজিছে শূন্যমাঝে ,
তড়িৎ বিজুরী খেলিছে চাতুরী নব জলধর মাঝে ।
ঝমঝমঝম চরণে বাজায় ছমছম পায়েল বর্ষারানী ,
ছনছনছন বাজে রিমঝিমপায়েতে  নূপুর ধ্বনী ।
হাঁসফাঁস তাপ হরিল সন্তাপ বৃষ্টিতে হাসে সৃষ্টি ,
বাঁচিল জীবন শীতল প্রাণ মন অঝোরে পড়িছে বৃষ্টি ।
বৃষ্টির বারি আগমন তারি ত্বরিতে আসিছে বাদল ,
তাই নব সাজে পৃথিবী যে সাজে শীতল হইবে ধরাতল ।
তপ্ত দহনে পরাণ না মানে উবে যত ক্ষুদা পিপাসা ,
কালো মেঘে বুঝি আসে বরিষণ তপ্ত মরুতে সহসা ।
বহে সমীরণ হয় বরিষণ শীতল করিল ভূমিতল ,
গুড়ুম আওয়াজ পড়িতেছে বাজ ভয়েতে কাঁপে বক্ষস্থল  ।
বহু অপেক্ষায় অনেক আশায় শীতল হইল তনু মন ,
ধরা বুঝি আজ হইল শীতল নিভিল দহন উষ্ণায়ন ।

          *******************
রাত্রি - ১০ : ১৫ মিনিট ।
০৮ /০৬ /২১ মঙ্গলবার ।
রবীন্দ্রনগর  =মেদিনীপুর  ।