ঠমকি ঠমকি চলে রাই সৌদামিনী ,
চরণে নূপুর তার বাজে রিনিঝিনি।
কাঁখালে কলসি চলে রাই গরবিনি,
সংগেতে চলে যত ব্রজগোপিনি।


কাঁখালে কলসী রাই চলে যমুনায় ,
তমাল ডালেতে কৃষ্ণ বাঁশুরি বাজায়।
তমালের ডালে বসে কানু বাঁশী সাধে,
কানুর বাঁশুরি শুধু বলে রাধে রাধে ।


কানুর বাঁশরী শুনে রাই লাজে মরে ,
কি করে যাবে রাধে যমুনায় এবারে।
ব্রজবাসী সবে তারে বলে কলংকিনি,
বাঁশী না বাজাও তুমি শ্যামগুন মনি।


গোয়ালার  ঝিয়ারি আমি করি বেচিকিনি,
কি করে বেচিব আমি দধি ,দুগ্ধ ,ননী।
বৃষভানু সুতা আমি আয়ান ঘরণী ,
গৃহেতে  রয়েছে মোর শ্বাশুড়ী ননদিনী।


আর না বাজাও বাঁশী ওহে নিলাজ কানাই ,
এবার তোমার থামাও বাঁশী যমুনাতে যাই।
জল ভরিতে যাব আমি এবার যমুনায় ,
নন্দর ছাওযাল না যাইও তমাল তলায় ।


************************
বেলা--১০ ;৩৭ মিনিট।
১৩ /০৬ /২১ রবিবার।
রবীন্দ্রনগর = মেদিনীপুর।