বীর প্রসবিনী দেশ আমার, হে বঙ্গ জননী,
তোর পরেতে জন্ম লয়ে, ধন্য হইনু আমি।
তোর কাদামাটি - জলে, ফুলে ও ফসলে,
তোর বুকে বাঁঁচি মাগো কতই হেসে খেলে।
তোর বায়ুতে বাঁঁচি, মরি, প্রতি পলে পলে,
মুখে ভাষা, বুকে বল, বুকভরা ভালোবাসা দিলে।
প্রেম প্রীতি ভালোবাসা, স্নেহের বন্ধন,
শিখিলাম তোমা হতে করিয়া যতন।
জ্ঞান ভক্তি দিলে তুমি, দেখাইলে মুক্তির পথ,
তাই ফাঁঁসি পরল ক্ষুদিরাম, দিপান্তর ভকত্।
ধর্ম দিলে, সাহস দিলে, বিবেক - বৈরাগ্য দিলে তুমি,
শিকাগো ধর্ম সভায়, ভাষণ দেন বিবেকানন্দ স্বামী।
সন্নাসী হইলেন স্বামিজী তোমাই ভালোবেসে,
ধ্র্মকথা প্রচারিলেন তিনি সারা বিশ্বে।
তোমা স্বাধীনতা লাগি, নেতাজি হলেন অন্তর্ধান,
নাথুরাম গডসের পিস্তলে গান্ধীজি দিলেন প্রান।
বীর সন্তান বিনয়-বাদল-দিনেশ শহীদ হলেন তোমার তরে,
ইতিহাসে লেখা তাদের নাম স্বর্ণাক্ষরে।
তব মুক্তি লাগি শহীদ মাতঙ্গীনি, প্রীতিলতা যত আগ্নিকন্যা,
শহীদ হলেন তাঁঁরা আনিয়া বিপ্লবের বন্যা।
বাংলার বীর, বীর সৈনিক, প্রদ্যোত, ক্ষুদিরাম,
ফাঁঁসির মঞ্চে গাহিলেন, তাঁঁরা তোমারেই জয়গান।
কবি কঙকন মুকুন্দরাম, বাঁঁচাতে তোমার মান,
অযুত কন্ঠে, মুক্ত কন্ঠে গাহিলেন তাঁঁরা তোমারেই জয় গান।
তোর ধূলি পরে জন্ম লভিয়া, ধন্য হইনু আমি,
গর্বেতে বুক ভরে উঠে মোর, ওগো বঙ্গ্ভূমি।
রবীন্দ্রনাথ রচিলেন ঐ স্বাধীনতার গান,
কবি নজরুল গাহিয়া উঠেন কান্ডারী আগুয়ান।
ত্বরা ছুটে এস জায়া ও জননী, ক্ণ্যা ও ভগিনী,
এসো রাহিরিয়া, খোল তব অবগুন্ঠ্ন খানি।
ওঠ ওঠ, জাগো জাগো, জাগোরে নজোয়ান,
খোল খোল খোল, শৃঙখল খোল, মাতৃভূমির আহ্বান।
আয়রে তরুন, আয়রে নবীন, আয়রে ছাত্রদল,
মাতৃমুক্তি পন নিয়ে আজ ভাঙ ভাঙ শৃঙখল।
রুদ্ধকারার ব্ন্ধ দ্বারে, কর করাঘাত হান বারে বার,
পরাধীনতার মুক্তির লাগি, ধর হাত সবাকার।
মাতৃভূমি, জন্মভুমি, তোমায় জানাই প্রণাম,
লক্ষকণ্ঠে গেয়ে উঠি মোরা স্বাধীনতার গান।
আজি আকাশে, বাতাসে, ধ্বনিয়া উঠিল বন্দেমাতরাম্,
মাগো তোমার চরন দুটি আমি বক্ষে ধরিলাম।
------------------* ------------------