ঐ যে গাঁটি যাচ্ছে দেখা শালবনের ঐফাঁকে,
মনোহরন গ্রামটি যে মোর, মনটি কেড়ে রাখে ।
ঐ খানেতেই ঘরখানি মোর, নানান্ গাছে ঘেরি,
সেইখানেতেই মনটি যে মোর হয়ে গেছে চুরি ।
সেই ঘরেতেই "গোপাল" আমার সিংহাসনে বসে,
'লক্ষ্মীনারায়ণ' আছেন বসে, তাঁরই পাশে ।
'মহাকাল-শিব' সেথা বসে নিজাসনে,
'মহামায়া', 'মহাকালী' থাকেন সেখানে।
সৎনাম, সৎসঙ্গ, সঞ্জীবনী শুধা,
'হরিনাম' মহামন্ত্র হইত সর্বদা ।
'রাধাস্বমী' বীজমন্ত্র উচ্চারন কালে,
অন্তর হইতে ভাব আবেগে উথলে।
সেখানে ছিলেন মোর গর্ভধারিনী মাতা,
জন্মভূমি হোথা, মোর জন্মদাতা পিতা ।
উত্তরেতে শালবন রাঁঁধামোহন জীউর মন্দির,
পশ্চিমে কাঁসাই নদী বহিতেছে ধীর ।
পূর্বে রাজার বাঁধ, খালের পাড়ে ইউক্যালিপটাশ বন,
দক্ষিনে সহরখাল, উচ্চবিদ্যালয় আর রামকৃষ্ণ আশ্রম ।
নদীটির দুই তীরে কাশবন ফুলে ফুলে সাদা,
শরতের আগমনে ভেসে আসে পূজার বারতা।
বিশদ বর্ননা তার বর্নিতে না পারি,
রাঙামাটির রাঙারাস্তা কেমনে বিস্মরি ।
ঐখানেতেই মনটি আমার বেড়ায় আসেপাশে,
ঐখানেতেই আমার 'মা' এর গায়ের গন্ধ ভাসে ।
মাওবাদীদের গুলির আওয়াজ হোকনা খুনোখুনি,
তবুও ঐ গ্রামখানি মোর সবার চেয়ে দামী ।
ঐখানেতেই স্বর্গপুরি 'লালগড়' নাম,
সেইখানেতেই শ্বশুরালয় ,মম পিতৃধাম ।
   >>>>><<<<<