কতরূপে,কতভাবে দেখিগো তোমায়
দীনের দয়াল হরি,মেতেছো খেলায়।
রামকৃষ্ণ রূপে তুমি এসেছো ধরায় ,
মাতাও জগৎ তোমার ভাবের ধারায়।
গদাধর নাম নিয়ে  জন্মিলে আবার ,
রামকৃষ্ণ রূপে তুমি হও অবতার।
পুরোহিত  নির্বাচিল তোমায়  ''রাণী রাসমণি '',
প্রধান পূজক তুমি ''মা ভবতারিনী ''।
ভবারনবে তব লীলা কে বুঝিতে পারে ,
যখন তুমি  ইচ্ছা কর যাহার অন্তরে।
একাধারে ''কৃষ্ণ '' তুমি ,একাধারে "রাম '',
দুই অঙ্গ মিশে হোল ''রামকৃষ্ণ'' নাম
মনের মাধুরী দিয়ে  রচিগো তোমায়,
"রামকৃষ্ণ " রূপে তুমিএসেছো ধরায়।
ব্রহ্মরূপী সনাতন ,নরোত্তম তুমি ,
যুগে যুগে অবতার ,পুন্য ধরাভূমি ।
সর্ব ধর্ম সমন্বয়্ করিলে সাধন ,
হেথা সর্ব ধর্মের হয় মহামিলন।
রামকৃষ্ণ  মধুর "নাম" জপ, কর ধ্যান ,
পরমহংস নাম নিলে ধন্য হয় প্রাণ ।
"রামকৃষ্ণ ঠাকুর " তুমি আমার প্রাণের প্রাণ ,
জীবন জু়ড়াও তুমি ,শাণ্তি কর দান ।
যুগাবতার প্রভু তুমি স্বামীজির আর্দশ ,
সেই ভাবাদর্শে ,তিনি মাতালেন ভারতর্ষ ।
তোমার সহধর্মিনী ,মাতা সারদা,
মানবী নহেন তিনি  জগতের মাতা।
রমণী শ্রেষ্ঠা তিনি ,মাতা সারদামণি
জয়রামবাটি ধন্য হল , যেথা জন্ম নেন তিনি।
লক্ষী সমা হন তিনি, হন জগত মাতা,
সতী পতিব্রতা তিনি, সংসারের মাতা।
সন্তানের কষ্ট হলে তিনি কষ্ট পান,
বিশ্বজনের মাতা তিনি করেন অন্ন দান।