প্রথম হুচট খেলো আজ
যখন জাহাজঘাট পার হয়ে সমুদ্রফেনা পাশ কাটিয়ে চলেছে
প্রথম মুখ খুলেছে সে
যৌবনভার সইতে না পেরে বিস্তৃত আকাশের কাছে
একমুঠো অন্নজল না পেয়ে খেতে চলেছে মুত্রবর্জ্য
সেখানেই প্রথম অমৃতপান করতে চলেছে
পোশকের প্রতিটা স্থর ফেলে উলঙ্গ হয়ে ঝাপ দিয়েছে
সেখানে প্রথম সাঁতারের স্বাদবোধ করেছে হৃদয়
খাবার অভাবে যে মৃত্যু আলিঙ্গন করলো
ছিন্নভিন্ন করে সে দেহ খাবার মিটালো মাছেদের
সেখানেই সে প্রথম তৃপ্তি পেল ক্ষুদ্রকণা হবার


মানবাত্মা সেদিন চুপকরে দেখেছে
একাটা বেড়া, কাঁটাতার লাল উড়না
পাষাণমূর্তি বাবার চোখেরপানি,
আত্ম চিৎকার করা এক যুবতী
রক্তাক্ত কাঁটাতার ভোরের দুর্বাবন
নির্লজ্জভাবে বিচারের নামে চলা প্রহসন


কোলাহলপূর্ণ দরবার শূন্যতা পেয়েছিলো সেদিন
ঘাসের বুক চিরে বেরিয়ে এসেছিলো
নর্দমার শেষাংশে ভেসেছিল মানবতা
জমাট রক্তের সাথে খোলা চিঠি
ঠিকানা কিংবা লেখাতে রক্তের ছাপ
অস্পষ্ট রেখাঙ্কিত "বাঁচতে দিলো না ওরা"


সকালের স্নিগ্ধতা পেরিয়ে কেঁপেছিলাম
দেহের শক্তিকলা কাজ বন্ধ করলো
অবশেষে একটি হাত,রঙিন দুটি চুরি
বাতাসে রক্তেমাখা আর্তনাদ কণা
হা হা কার করেছে শত উদ্যামী প্রাণ
একটি প্লাজা ধুলিকণা পোশাকের
নিরব জনপ্রশাসনে কালোরঙ
বুকের বাম পাশে খচিত ব্যজে মানবতার বন্ধন....