ছোট্ট একটা শিশু
কতই বা বয়স ;
দশ......
এগার বা বেশি কিছু ।
দুঃখের খুঁটি, কষ্টের চালে
একটি ঘরের কোনে;
মুমূর্ষ মার মাথার কাছে
মুখের দিকে চেয়ে;
মা...মা......
বলনা কথা
আমার সাথে হেসে ।
তোমায় আমি দিলাম কথা
উঠবে তুমি সেড়ে ।


নেমে গেল সে
ঘরের থেকে,
শপথ অগ্নিচোখে ।
রাস্তার ধারে
পড়লো চোখে
কারা যেন
দালান উঠাচ্ছে ।
এখানেই সে
কাজটা নেবে
এবারে ভাবছে ।


মালিকটাকে বলল গিয়ে
অনুরোধের স্বরে ।
একটা যদি কাজ দাও মোরে
মা উঠবে সেড়ে ।
তাতে কি আর
মালিক বাবুটার
মনটা যাবে গলে ?


এভাবেই সে
এধার ওধার
পথটা মাড়িয়ে ।
কাজ না পেয়ে
হতাশ হয়ে
এলো আঁধার গৃহে ।


চোখটা মায়ের সদাই বোজা
মেলবে কখন কে জানে !
সোজা হয়ে পায়ের ধারে
রইলো দাঁড়িয়ে ।
বেয়ে বেয়ে চোখের থেকে
অশ্রুগুলো যায় গড়িয়ে ।


বলল সে নিজের মনে
পারলামনা আমি মারে,
একটাও কাজ নিতে ।
কি দিয়ে মা এবার তবে
উঠবে তুমি সেড়ে  ?
তবে কি মা আমার থেকে
যাবে হারিয়ে ?


কতদিনইবা তোমায়  ছেলে
মা...মা বলে
তোমায় ডেকেছে ।
দু গ্লাস পানির তৃষ্ণা
দু ফোঁটায় মেটে কি মা ?
মা...মা...
আমায় ছেড়ে চলে যেওনা ।
কথা দিচ্ছে তোমার ছেলে
একটা কাজ যাবেই পেয়ে ।


দিনের পরে
দিন চলে যায়;
একটা কাজও নাহি সে পায় ।


কাজ না পেয়ে
হতাশাতে যাচ্ছে ডুবে ।
কখন জানি বাঁচার আশা
চিরতরে চোখটা বোজে ।


পৃথিবীকে এবার বলে,
মায়েরই ঐ হতাশ ছেলে;
পৃথিবী............ !
শুনতে পাচ্ছ কি ?
পৃথিবী আমার মাকে বাঁচাও ।
একটি মানুষ নেই কেউ?
মা আমার, সবারই মা
মায়ের পাশে দাঁড়াও ।


একদিন সে কাজ খুঁজে
ফিরল বাড়ি অবশেষে ।
ডাক দিল মার পাগল ছেলে
মা...মা বলে
আলতো স্বরে ।
নেই যে সাড়া
দিশেহারা পাগল ছেলে ।
তবে কি মা তাকে ছেড়ে
চিরতরে গেল চলে ?


নিরব; নিস্তব্দ ।।।


মা...............।।
মা...............।
হতে পারেনা ।
আমায় ফেলে
এইভাবে মা
যেতে পারনা চলে ।


ছোট্ট বেলা একটা বেলা
না দেখিয়া
হতিস্ উতলা ।
তবে আমার সাথে
একি করলি খেলা ???


নিষ্ঠুর পৃথিবী
এটাই তোর রীতি ?????
কোথায় আমার ডাক শুনলি?????
করলি অবহেলা ;
তোকে আমি ছাড়বনা,
করবনা.........করবনা
করবনা ক্ষমা
কোনো বেলা ,
কোনো বেলা ,
কোনো বেলা......।