ধূমপান আর মৈথুন ছাড়া কিছুই যে নেই বাকি,
জীবনের কথা ভেবে ভেবে আমি আজীবন মরে চলি।


হাত খালি আজ, কাল দুপুরে পাবো কিছু টাকা
সকালবেলার নাস্তায় খাবো ডাল-সব্জি-পরোটা,
এতে যদি সাশ্রয় হয়, থাকে কিছু অর্থ
অনর্থের রাহুগ্রাস থেকে এযাত্রায় তবে বাঁচবো।
সামনের মাসে খরচ অনেক, পকেটের হাল হবে টাইট
পুরোনো বইপত্তর বেচে হালকা দেবো ফাইট,
তারপর থেকে দেনা করে যাবে
ইধারকা মাল উধার হবে
লাইফের এ্যাসে ঢুকে যাবে লাঠি,
চাকরির বাজার জানি পুরোটাই ফাঁকি
তবু যেন কিছু আশা থাকে বাকি
তাই ধূমপান করি,
মাথার ব্যারাম সারায় ভীষণ ফাইন।
ওদিকে রাত হয় তবু ঘুমের অভাব
চক্ষুটা হয় ক্লেষ্ট নবাব
ছোট সাহেবের খুব খিদে পায়,
যাতনা বুকের উথলে উথলে বাড়িয়া বাড়িয়া যায়;
কাটাতে আমি যন্ত্রণা তাই মৈথুনে যাই মজে
শিরা-উপশিরা নাচিয়া ওঠে একটুকু সুখের খোঁজে।


নারীরা আমায় খারাপ বলে
ধর্ম বলে পাপী,
সমাজ করে সমাজচ্যুত
বিবেকও দেয় লাথি।
কি করে আমি বুঝাই তাদের
“ধূমপান আর মৈথুন ছাড়া কিছুই যে নেই বাকি।”


৮ অক্টোবর ২০২১।