আমি নিজেই নিজের কবিতা পড়ি আজকাল,
কেননা জানি ব্যর্থ কবিদের কোনো পাঠক হয়না
তারা নিজেরাই কবি নিজেরাই পাঠক আবার
নিজেই কবিতা হয়ে ধরা দেন খাতায়।
বইয়ের পাতায় তাহাদের কবিতা হয়নাকো ছাপা
তারা জানেন তারা জন্মেছিলেন বাচার জন্য
কিন্তু তাদের মৃত্যুর কারণ হবে কাব্য।
আমি তাই এই কবিতায় লিখে যেতে চাই
নিজের মৃত্যুকে, মঞ্চস্থ করতে চাই
পৃথিবীর সবথেকে অসফল নাটক।
সেখানে অভিনেতা আমি, নির্দেশক আমি,
আমিই প্রম্পটার, কিন্তু কে নাট্যকার
সে তথ্য আজও অধরাই থেকে গেছে আমার।
আমি খুব বেশি কিছু বলার বা লেখার বা শোনানোর
অবস্থায় নেই আজ, কখনো ছিলামও না
কেননা আমার অবস্থান যেখান থেকে দৌড় শুরু হয়
তা থেকে দশ মাইল দূরেই ছিলো সবসময়,
এই দশটি মাইল অতিক্রম করে এসে রেসে পাল্লা দেয়া
কি সহজ খুব? মাইনাস টেন হয়ে
যে ইতোমধ্যে প্লাস একশে আছে তাকে টেক্কা দেয়া
আমার হয়নি কখনোই।
তাই মাউথপিস আমার হাতে আসেনি
গলায় ঝোলেনি কোনো মেডেল;
তারা বলে এ লড়াই সমতার—
উই অল আর ইক্যুয়াল টু এভ্রিওয়ান,
কিন্তু মাইনাস ওয়ান হ্যাজ অলওয়েজ বিন লেস দ্যান এক্স—
এটা সমতার নয়, অসমতারই অংকো ছিলো সবসময়।
আমরা শুধু ভুল করে জ্যামিতির অংশ এলজেব্রায় ঢুকিয়ে ফেলেছি ভুলে।
সে যাহোক, এই পদ্যে কোনো গন্তব্যেই পৌঁছানো যাচ্ছেনা।
তাই এই জ্ঞান আর অজ্ঞানতার মাঝে
দু দুটো একে-ফোর্টিসেভেন রেখে
আমি হুকুম দিচ্ছি গুলি চালানোর।
হে পঙক্তিগণ, তোমাদের ছোঁড়া বুলেটের আঘাতে
যদি মৃত্যু ঘটে আমার, তবে জেনে রেখো
আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী নও তোমরা।
যে বা যারা দায়ী তারা সাহস্যে বেড়াচ্ছে ঘুরে,
তুমি বা আমি তাদের নিম্মদেশের
একটি লোম ছেঁড়ারও সক্ষমতা রাখিনা।



২৫ মার্চ, ২০২৩।