গরু আর ছাগলের খাদ্য জোগাতে
শাহবাগ কবে হয়ে যাবে কাঁঠালবাগ,
তবু রামছাগল আর বিদেশী গরুর ক্ষুধা
একটুও লাঘব তাতে হবেনা।
ছাগলের ন্যাদায় আর গরুর চ্যানায়
বসবাসযোগ্যতা হারাবে শহর,
তবু এতোটুকু সার পাবেনা মাটি—
সবটুকু টেনে খাবে গরু আর ছাগলের বাচ্চারা।


হালচাষ করা গ্রামের কৃষক
হুট করে পেয়ে গেলে পাওয়ার টিলার
যদি দেড়বিঘে জমিকে তুচ্ছজ্ঞান করে,
তাঁর হাতে ছেড়ে দিলে বড় ট্রাক্টর
সে কি পুরো গ্রামের বারোটা বাজাবেনা?
অথবা জমিদার খেদানো
মামলাবাজ এক ধাড়ি বুড়ো যদি হয়ে যায় জজ,
তাবৎ গুষ্টিসমেৎ পুরো জগতের অধিপতি
সে কি নিজেকে ভাববেনা?
তেমনি এক গাধার পাছার নিচে
যদি রেখে দেয়া হয় বিশাল চেয়ার,
উটের কুঁজ মনে করে চেয়ারের সাথে বেঁধে লেজ
সে কি জ্ঞানশূন্যহীন দিগ্বিদিক দৌড়াবেনা?
আমরা প্রশ্ন করিনা কেন
গাধা আর চেয়ারের মিল খুঁজে পেয়েছিলো কে?
সে কি গাধাদেরই সর্দার নাকি
সবকিছু গিলে খাওয়া বিরাট এক অজগর?


গাধারা শাসন করুক ঘোড়াদের রাজ্য,
ঘোড়াগুলো মহীনের, সহিসের তাতে কি!
জীবন বেদনা হোক, আনন্দ আনুক মরণ
কবিদের কবিতা কচুগাছে দড়ি দিয়ে মরে যাক
ব্যাঙগুলো ডুবুক ডোবায়।


১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১।