উলঙ্গ শুয়ে আছি বিছানায়
নিস্তেজ নিথর দেহ,
প্রাণ আছে ভিতরে তবু
স্পন্দন পাচ্ছিনা কোনো।
কতোটা লালসা ভিতরে
কতোটা বিষাদ,
কতোটুকু কামনার ফসল
আর কতোটা নিঃসঙ্গতার
ভেবে ঝিম মেরে গেছি আরো,
যতো ভাবি ততো তলাই অতলে
গভীর খাদে পড়ে যাই যেন
পাথরের আঘাত মস্তিষ্কে লাগে
ঝনঝনিয়ে ওঠে ঘিলুও;
মনে পড়ে দর্শন, বুদ্ধিবাদের কথা
“চিন্তা করছি তাতেই প্রমাণিত হয় অস্তিত্ব”—
ঠিক না ভুল আমি বুঝে কিছু পাইনা
জীবনের তরে আজীবন তর সইনা,
আমি তাই মরে যাবো ভাবি।
মরে যাবো ভেবে যেই বুজি চোখ
সেই ডাকে পাখি, অন্ধকার দেখার বদলে
আলো আর আলো শুধু দেখি;
গাছের ডালের সাথে ঝুলে যাবো বলে উঠি
দড়ি খুঁজে পাইনা,
চিরতরে ঘুম পড়া আর বুঝি হয়না!
চোখে পড়ে ধার দেয়া মাছ কাটা বটি
নিজের গলায় কোপ দেবো বলে সেটি তুলি,
হুট করে লোহা যেন হয়ে যায় মোম—
করাঘাতে ভেঙে যায়, দুম করে গলে যায়;
সহসায় ফুরায় মরণের সমস্ত সাহস।
দোর খুলে ছুটে যাই রাস্তায়
দৌড়াই, দৌড়াই, দৌড়াই...
কেন দৌড়াই, কেন বেঁচে আছি
ঘুম-অঘুম আমি কোনটাতে আছি!
পুতুলের মতো কেউ নাচায় আমায়...


১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১।