ছোট্ট খোকার বাবামায়ের মৃত্যু হলো দুর্ঘটনায় পড়ে।
অনাথ খোকার জায়গা হলো কাকার সংসারে।
কাকার মাথায় বিশাল টাক, কাকী ভালোনা!
কাকা একটু এদিক-সেদিক, খোকার খেয়াল রাখেনা—
অনাহারে অপুষ্টিতে তাই বেহাল হলো দশা।
কাকী যখন মারলো তানা ছন্নছাড়া বলে,
কাকু একটু হাসি দিলো
মিষ্টি কথা বলে।
কিন্তু তাতে খোকার মনতো গললেনা
কারণ খোকা জানে ভালোই
কাকা একটা আস্ত খাটাশ
খোকার বাপের জমিগুলো গিলতে পারলেই
খোকার পেটে মারবে লাথি অমনি পটাশ!
খোকা তাই তুললো দাবি পৌরসভায় দৌড়ে গিয়ে,
"মেয়র সাহেব, আপনি আমায় দোহায় করুন জীবন বাঁচিয়ে।"


মেয়র সাহেব এগিয়ে এলেন;
কাকার থেকে পিছ ছুটিয়ে
খালামণির বাসায় গিয়ে
খোকার দায় তুলে দিলেন।
খালামণি মানুষ ভালোই
দেখতে হাসিখুশি,
খোকার খেয়াল রাখেন তিনি
বেশতো প্রতিদিনই।
খোকা তাই বড্ড সুখী,
রোজ বিকেলে খ্যালে;
খোকার জীবন বদলে গেলো
কয়েক মাস গেলে।
খালামণির লাগবে তখন অল্পকিছু টাকা
খোকাও তাই খুশিমনে বেচে দিলো অল্প জমিজমা।
খালার তবু টাকার অভাব শেষ হয়না যেন
খোকার গায়ে হাত তুলতে যেয়ে আসেনা কোনো।


খোকা এখন কি করবে?
আর বাকি নেই কোনো স্বজন।
খোকা এখন বুঝে গেছে
লঙ্কায় গেলে সবাই রাবণ!


২৬ মে ২০২১।