তাঁকে দেখেছি, শিশির ভেজা সকালে, চঞ্চল কিশোরী। এলোকেশী আলতা রাঙা নগ্ন পায়ে ঝনঝন নূপুর বাজিয়ে, কয়েক পলক বাদেই মিলিয়ে গেল সে ঘন কুয়াশার গহীনে।
কে ছিল সে অপরূপা? যুগযুগ ধরে লিখে আসা কবিদের কবিতা নয়ত?


তাঁকে দেখেছি, রোদের সোনালি ঝিলিকে ঝলমলিয়ে হাসে তার অঙ্গ, কোমড়ে বিছা,
নাকে নথ, হাতের চুড়ি ঝিনঝিনি বাজে।
আহা! সে কী রূপ এ যে স্বর্গের অপ্সরী।
এক পলকেই যার প্রেমে পড়ে অগণিত পুরুষ।
তবে কী এই সেই মায়াবী?


তাঁকে দেখেছি, বিকেলের গোধূলিলগ্নে, নদীর ধারে জলের বুকে ছবি আঁকা, এ যেন জল কন্যার প্রতিমা। জলের সঙ্গে হচ্ছে তার মিতালী, মাঝে মাঝে গুনগুন গানের সুরে তালে তাল মিলিয়ে যায় কোকিলা, আনমনে চেয়ে থাকে দূর আকাশ পানে, অসম্ভব রূপসী। তবে কী সে নীলাম্বরী?


৭/৫/২০১৮ সময় ১:৪৪