।।রবীন্দ্র নাথ ঠাকুর।।


।।পিয়ালী চ্যাটার্জী।।  
  
কবি কে নিয়ে আলোচনাই বিড়ম্বনা,
আমার লেখার চার লাইনে বাঁধবো না।
কবির নামে তর্ক করার সাধ্য কার!
দু চার কথায় শেষ হলেও মানবো না।


কাব্য কথার সমুদ্র তাঁর জ্ঞান অসীম,
প্রসঙ্গ যে টানবো,সে তো তুলোনাহীন!
হাজার কথা ভাবলে পরেও থৈ না পাই,
কবির সামনে আমি অধম,অর্বাচীন।


বছর ঘুরে পেরিয়ে গেছে কয়েক যুগ,
আধুনিকতায় অনেক কবির নতুন মুখ,
ছন্দ খুঁজি কথার নতুন মারপ্যাঁচে,
বিশ্বায়নে বাংলা ভাষার স্থান বারুক।


কিন্তু কবির বঙ্গমনে শীর্ষ স্থান,
দেশের গর্বে বাজে তোমার জাতীয়গান,
জন্ম মৃত্যু সুখ দুঃখের দিনক্ষণে,
সব বাঙালীর মনের মধ্যে বিরাজমান।


গ্রীষ্ম তাপে অগ্নিবাণের সুর বাজে
আষাঢ় এলে বজ্রমাণিক রোজ সাজে,
শরৎ সাজায় অরুণ আলোর অঞ্জলি,
শীতের হাওয়ায় আমলকি যায় কোন কাজে!


জন্ম সাথে হে নূতনের গান করি,
তোমার কথায় কৃষ্ণকলি সুন্দরী,
বিচ্ছেদ আর স্মৃতির নীরব পাত্রতে
বিষাদময় এই দুচোখের জল ভরি।


অবাক তোমার ভানুসিংহের ছদ্মবেশ,
তোমার নামে গর্বিত দুই বঙ্গদেশ,
বৈশাখে নয় তোমায় করি রোজ স্মরণ,
আদি কবি, তুমিই প্রথম তুমিই শেষ।।


(০৪/০৫/২০১৭)