আমার শরীরে তোমাদের কষাঘাত-
আঘাতে আঘাতে ক্ষত বিক্ষত হচ্ছি দিনরাত।
ব্যথা যন্ত্রণায় আমি করেছি কত কাতর অনুনয়,
হাতজোড় করে করেছি কত মিনতি, কত বিনয়!


গাছ কেটো’না ,
পেট্রল ডিজেল গাড়ি ব্যবহার কোরো’না ,
বায়ূ দূষণ কোরো’না ।


প্লাস্টিক ব্যবহার কোরো’না ,
নদী দূষণ কোরো’না ,
শব্দ দূষণ কোরো’না ,
আমাকে আর- কষ্ট দিও’না ।


এসব কোনো কথাই-
তোমরা চাও’নি শুনতে কোনোদিন,
তাই দূষণের মাত্রা হয়েছে অন্তহীন।


বায়ূ দূষণে আজ-
বিশ্ব উষ্ণায়ন বাড়ছে।
ওজোন স্তর ভাঙছে।
সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি-
আজ বায়ুমণ্ডল ঢুকছে।
তাই মারন রোগের প্রাদুর্ভাব-
আজ পৃথিবীতে বাড়ছে।


বিশ্ব উষ্ণায়নে সুমেরু কুমেরুর-
বরফ আজ গলছে।
সমুদ্র পৃষ্ঠের জলস্তর তাই বাড়ছে।
নদীতে বাঁধ দিয়ে-
আজ বিদ্যুৎ তৈরি হচ্ছে।
নদীর গতিপথ রুদ্ধ হচ্ছে।
নদীর গতিপথ তাই-
হঠাৎ’ই পাল্টে যাচ্ছে।
আর জনপদ সব-
প্লাবনে ভেসে যাচ্ছে।


তোমাদের’ই জন্য আজ ,
আমাজনে জ্বলছে দাবানল-
শুধু তোমাদের’ই জন্য -
কত পশু পাখি প্রাণ হারিয়ে-
আজ হয়েছে বিরল।


এভাবে যখন তোমরা সবাই-
উদ্যত হলে আমাকে নিধন করতে,
তখনই আমাকে রক্ষা করতে-
করোনা এল মহামারী রূপে-
আজকের পৃথিবীতে।


এখন তোমরা সবাই কেমন-
লক্ষী’ছেলে হয়েছো,
আর ঘরেতেই বসে থাকছো।
দুষ্টুমি করছো’না ,
গাছ কাটছো’না ,
গাড়ি চড়ছো’না,
শব্দ দূষণ করছো’না ,
বায়ূ দূষণ করছো’না ।


NRC , CAB, সব মুছে ফেলে-
ধর্মে ধর্মে বিভেদ ভুলে-
প্রাণ বাঁচাতেই আজ তোমরা-
আপ্রাণ চেষ্টা করছো ।


করোনার এই মহামারী শেষে-
যদি তোমরা বাঁচিয়ে রাখতে চাও নিজেকে-
তবে নিজের ঘর ভাবো এই পৃথিবীকে।
আর সেই ঘরকে সাজিয়ে রেখো সুন্দর সবুজে-
তবেই পারবে তোমরা বাঁচাতে তোমাদের অস্তিত্বকে।