সমুদ্রমন্থন মহাকাব্য :প্রথম সর্গ (১১-২৯)
    অধ্যাপক ড. রাজু ভৌমিক


পক্ষপাতদুষ্ট স্বামী বৈকুন্ঠের ইচ্ছাতে,
ওঘ পাপ করে ইন্দ্র, শাস্তিতে বিমুখতা,
অপরঞ্চ অসুরের ক্ষুদ্র কার্যকলাপে,
ফুসিয়ে বৈকুন্ঠ তার অগ্নিমূর্তি রূপেতে,
প্রধ্বংস করে অসুর, দ্বিধাহীন বৈকুন্ঠ।
দেবরাজ ইন্দ্র সর্ব, মনের পরিতোষে
পাপ করে তাই হর্ষে, কুমন্ত্রণা সর্বত্র,
ভুক্তভোগী ধরিত্রী ও মর্তের মানুষেরা।
  অসুরাধম ইন্দ্র সে, চরিত্রহীন বদ,
সে দ্বাপর মন্বন্তরে, বালক বৈকুন্ঠের
গোবর্ধন পর্বতের পূজাতে, দম্ভী ইন্দ্র
বাত্যাবিক্ষুব্ধ, তুমুল যুদ্ধ দ্বাপরেতে
বালক বৈকুন্ঠ সঙ্গ, অভিহত লজ্জায়।
তদ্ব্যতীত কামু ইন্দ্র, ছদ্মরূপ ধার্যতে
গৌতম মুনির হেমা স্ত্রী অহল্যা সঙ্গম,
ধর্ষক ইন্দ্র হাসিয়া বৈকুন্ঠের সম্মুখে,
“উপকার করি তবে, গৌতম ধ্যানভঙ্গ,
নতুবা এ দেবলোক, যেতো তার দখলে”।


.....চলবে