সমুদ্রমন্থন মহাকাব্য
       প্রথম সর্গ (১১১-১২৫)
         রাজুব ভৌমিক


সর্বেপ্রাপ্ত সাধনার মালা পরে গলাতে,
ঋষি চিন্তান্বিত মনে, ইন্দ্রের ভক্তি নিল;
অনুরঁজন দুর্বাসা, ইন্দ্রের অতিভক্তি,
অকস্মাৎ বলে মুনি, “ও স্বর্গের অধিপতি!
ত্তঘ হৃষ্ট মোর মন, তব  এ আচরনে,
দিবো সাধনার মালা, বিজয়ী হ ভুবনে।”
অহংকারী স্বর্গদেব, মুছকিয়ে সে হাসে,
ঋষি বুঝি দিবে মালা, আমি স্বর্গের পিতা!
দুর্বাসার সাধনার মালা, অতি অত্যুগ্র,
মূর্খ ইন্দ্র নাহি জানে, মালার বর্ধনাঙ্ক,
গর্বে তার বুক ভাসে, অজ্ঞানতার কোলে,
পলকমধ্যে সে মালা, পরিয়ে ঐরাবতে,
মূর্খ ইন্দ্র হাসে, ঋষি দুর্বাসা ক্রোধান্মত্ত!
ধরিত্রীর চারিদিকে, মৃদু কম্পন ভাব,
এই বুঝি ধ্বংস হবে, ধরিত্রীর প্রভাব।


চলবে......


মালতী-অমিত্রাক্ষর ছন্দ: প্রতি ছত্রে ১৫ টি অক্ষর, প্রতি ছত্র বা চরণ অাট এবং সাত মাত্রায়, এবং চরণগুলির অন্ত্যবর্নের মিল থাকেনা।