সমুদ্রমন্থন মহাকাব্য
      প্রথম সর্গ (১২৬-১৪২)
          রাজুব ভৌমিক


শ্রদ্ধার ন প্রদর্শন, ইন্দ্রে গর্ব ভরাট,
ঋষি দুর্বাসা রাগান্ধ, দু:সময় আভাস;
অপরত্র ঐরাবত, হস্তী একটি পশু,
নাহি সে জানে ফুলের অর্হ, পদদলিত
ভূবনপরে আনন্দে, শুঁড়ে করে বিচ্ছিন্ন।
অবজ্ঞাপূর্ণ দর্শন, হীন সে আচরন!
এদিক ওদিক দেখে, ঋষি দুর্বাসা নাহি
ণত্বষত্বজ্ঞান, বলে ‘নির্বোধ তুই ইন্দ্র!
তঁহি ফুল মাল্য মোর, সাধনার ফসল,
করিলে তুই অবজ্ঞা, তুই মূর্খের দল;
প্রত্যুত্তরে পাবি মূর্খ, উৎকট অভিশাপ!
অধুনা তুই হইবি দরিদ্র-লক্ষীহীন,
ত্রিলোকে ঐশ্বর্য ভ্রষ্ট, আকিঁচনে বিলীন’।
আকাশ ভাঙ্গে ত যেন, ইন্দ্রের ত্রিভুবনে,
বলে ‘প্রভু ক্ষমা মোরে, করিবোনা জীবনে,
তাদৃশ হীন করণ, মোর ভুল মুর্খতা,
স্বর্গ দাও ফিরে প্রভু, স্বর্গের বিলাসতা’।


চলবে.....


মালতী-অমিত্রাক্ষর ছন্দ: প্রতি ছত্রে ১৫ টি অক্ষর, প্রতি ছত্র বা চরণ অাট এবং সাত মাত্রায়, এবং চরণগুলির অন্ত্যবর্নের মিল থাকেনা।