সমুদ্রমন্থন মহাকাব্য
          প্রথম সর্গ (৬৩-৮১)
           রাজুব ভৌমিক


রাজা হুহু জলে ক্রীড়া, স্ত্রী সুদ্ধ সরোবরে,
স্নান করিতে নামিয়া, ঋষির পা স্পর্শতে,
নির্নিমিত্ত বিরসতা,  রাজা হুহু অবাক;
বুড়া দেবল ঋষি সে বৈকুন্ঠ শক্তিগুনে,
অকস্মাৎ দিলেন শাপ রাজা হুহু কুমিরে,
তৎক্ষনাৎ বনিবেন তা, ঋষির অনুক্রম!
অভিশপ্তে রাজা হুহু, অতিশয় দু:খিত,
কান্নায় সে সরোবর ভাসায় প্রভু বলে;
‘দাও ক্ষমা মোরে ছোট্ট বলে’, দেবল ঋষি
উচ্চধ্বনিযুক্ত বলে, অগাকান্ত রে তুই!
হবি কুমির এখুনি,  প্রগল্ভতার দোষে,
রাজা হুহু কান্নারোলে, ক্ষমা করো আমারে।
সর্বত্র ঠান্ডা বাতাসে, প্রকৃতি নিস্তব্ধায়,
মিনতি প্রভু বলিয়া, ঋষি অটল বলে
সামান্য গলে, একটু স্থিরচিত্তে ঘোষনা।
ঋষি কহিলেন রাজা হুহু বৈকুন্ঠ তোরে,
দিবে মুক্তি সে গজেন্দ্র-মোক্ষণে ‘আশির্বাদ’।
দেবল ঋষির রোষে বেচারা রাজা হুহু,
বনিলেন কুমির সে, জলক্রীড়া স্ত্রীসঙ্গে।


চলবে......


মালতী-অমিত্রাক্ষর ছন্দ: প্রতি ছত্রে ১৫ টি অক্ষর, প্রতি ছত্র বা চরণ অাট এবং সাত মাত্রায়, এবং চরণগুলির অন্ত্যবর্নের মিল থাকেনা।