"প্রশ্নহীন মুগ্ধতা "


মাথার চারপাশে ফুটে গেলে চোখ
হয়তো তুমি ঠিকি দেখে ফেলবে পৃথিবীর সকল সুখের লীলাখেলা,
হয়তো ষোড়শীর ঠোঁটের নাচনী কেড়ে নেবে তোমার জেঁকে বসা রাতের  সীমাহীন ঘুম,
হয়তো অনন্ত কোটি নক্ষত্র লোকে হবে তোমার কোটি হৃদয়তা,
তবুও তো রয়েছ ধূলোমাখা পথে পৃথিবীর বুকে দাঁড়িয়ে কোন গাছের ছায়াতলে!
এক নিমিষ ছেয়ে যাবে তোমার অন্তর জটবাঁধা মেঘে
তোমার চোখেরা যখন আবিষ্কার করবে অনন্ত ডাস্টবিন!
পেয়ে যাবে মানুষের মুখের ভিতর কুকুরের ছবি
বিশ হাত জিহ্বা দিয়ে শুষে নিচ্ছে ভিখেরীর আহার!
হতাশায় নিমজ্জিত হবে আজীবন।


যে কখনো দেখেনি ধ্বংসের খেলা,
জানেনি প্রাণ নেয়ার জগতে একটি তুচ্ছ ঈশারা,
অগণিত ঘাসের ওপর শিশিরের বিন্দু সৌকর্য,
ভেঙে পড়ে সহজেই হালকা বাতাসের মত।
অজানাই বারবার বেগ দিল বাঁচার মানে
অজান্তেই রয়ে গেল নিযুত রহস্য!
কেবল অনুমানে অন্ধত্ব দেখায় অসীম ক্ষমা।


থাক না বিজ্ঞ হাওয়ার বৃথা চেষ্টা
সমুদ্রের শত উদ্দামতা কি কাজে আসে স্থির আলোক চাঁদের  শিখা হতে?
আমি তো দেখি ক্ষিপ্রতা কেবল এনেছে  অনুতাপ
হৃদয় নিজেরি ভারে নুইয়ে সৃষ্টি করেছে অনন্ত গ্রাভিটন!
অশান্ত হৃদয় বোকার মতো করে শান্তির খোঁজ
নিসর্গ জীবন ফেলে লাশ করে ফেলেছে সব অবসর।


সেই দ্যাখে বেশি আধুনিক পৃথিবীর ছোঁয়ায় যে বেড়ে ওঠেনি কখনো,
জেনেছে গভীর বিষাদে  জীবনের উত্তাপ
ফুটপাতে চায়ের কাপে এক প্রদীপ জীবন, অলসতার চাঁদরে ঢেকে দিয়েছিল অনাবিল প্রশান্তি;
প্রশ্নহীন মুগ্ধতা ছেয়ে গ্যাছে কতবার!


কবিতা টি "শিশিরের শব্দ " অনলাইন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে ৩/১২/২১ তারিখে।