নিয়ন আলোতেও ওরা ফোঁটায় জ্যোৎস্নার ফুল
অর্ধালংকারে সাজ্য দুগ্ধবেশ্যার মতো চকচকে হাতে
আজন্ম শূন্য বৃক্ষের ডালে মুহূর্তে ফোঁটে জোনাক ফুল


পতঙ্গের ঝকঝকে চোখে বহুদিন বাদে জন্মেছিস মানবে
কৃষ্ণালোয়ে ঝাকিয়ে রুপের মিমাংসা তোর নৃত্যঘরে
দোদুল্য দেহের মুদ্রায় লোভাতুর চোখের করতালিতে
মুগ্ধতায় নৃত্য করে জোনাক পোকা।


দু’চাকা চার চাকা চড়ে শোষিতের রক্ত আসে,
বহুদূর প্রান্ত থেকে। তোর পদতলে দলিত হয়
রক্ত এবং মানবাধিকার...


তোর বুকের উচ্ছলতায় নৃশংসতার নির্মম মৃত্যু হয়
ফর্সা পায়ের ঘুংগুর ঝুনঝুন, সারারাত আনন্দ মোহন
এখানে মৃত্যুর তীব্র সাধ হাড়ায় মাতাল চন্দ্রালোক
কৃষ্ণাঙ্গ নারীর কুচকুচে পেটও যেন চোখের শরসে ফুল
শব্দহীন অফুরন্ত কান্না ঢেকে যায় নৃত্য বিলাশী রাজার হাতে


আর, দুপুর আলোর খা খা রোদেও অন্ধকার নাচঘর
মুদ্রার পরিবর্তনে মঞ্চে উঠে আসে সরীসৃপ বা উইপোকা
লোভাতুরের আসনে ফূর্তি করে ইঁদুর খেলে গোল্লাছুট
না জেনেই ছুঁয়ে যায় রাজার মুকুট ও শোষিতের রক্তাধিকার


অন্ধকারেই থেকে যায় তোর পতঙ্গ চোখের মায়া
দিনের আলোয় ছায়াও মাড়াসনি পতঙ্গের নাচঘরে।


২২-১১-১৪ ইং
রাত ১১-২৫
গোপিবাগ, মতিঝিল