শ্রীনগর, সোনমার্গ, গুলমার্গ, পহেলগাম-
আহা কি সুন্দর, নয়ন মুগ্ধকর, ছবি সম পরিবেশ-
নীলাকাশে শুভ্র মেঘ, সারি সারি গিরিমালা
শিরে শোভে, হেম-সুন্দর, রত্ন খচিত কিরীট
গিরি-দেহে বিরাজ করে, রাশি রাশি, সেনা সম পাইন
তারি মাঝে স্থানে স্থানে ঝ’রে পড়ে ঝর্ণার প্রাণধারা
গিরি-পাদদেশ থেকে সবুজ গালিচা পাতা বিস্তৃত প্রান্তর-
সূর্যালোক দেয় যেন শৈত্যের উপভোগ
প্রকৃতির এমন অপরূপ রূপ- ধরা মাঝে বিরল।


প্রকৃতির এমন কোলে মানুষও সুন্দর,
শিষ্ট সুন্দর নম্র স্বভাব, পর্যটককে ভাবে মেহমান
কেহ নাই বসে, পুরুষ-নারী- কঠোর পরিশ্রমী
নারী করে কুটীর শিল্প- প্রসিদ্ধ কাশ্মীরী বস্ত্র,
পুরুষেরা তাই নিয়ে করে রুজি-রোজগার
নেই তেমন ভিখারি, ঠগি-জোচ্চোর, নেই দাসত্ব বোধ
স্বাধীন-ভাবে সমৃদ্ধ, সমব্যথী, সেবা-মুখী- মহান কাশ্মীর।


দয়াময়ী প্রকৃতি দিয়েছে উজাড় করে সম্পদ রাশি রাশি
নিজেরা ব্যবহার করে বিলায় সম্পদ দেশের সকলে।
জীবনীয় সম্পদে ভরা – ধরা মাঝে এমন ভূমি
যে যেখানে আছে, এমন প্রকৃতিরে দেখে যায় ঘুরি।
নানা বৈচিত্র্যে ভরা- ধরা মাঝে শ্রেষ্ঠ ভারত ভূমি-
যার ধমনীতে স্বতঃই ধ্বনিত হয় ‘একেশ্বর বাদ’-
কাশ্মীরের আনাচে-কোনাচে দেখা যায় তারই প্রকাশ
সকলকে নিয়ে, সেবা বিনিময়ে চলার শ্রেষ্ঠ উদাহরণ
এসো সকলে মিলে রক্ষা করি ভারতের প্রাণকেন্দ্র- কাশ্মীর।